🍁
মাঝে মাঝে মনে হয় কবিতা চর্চার জন্য বীজগণিতের ন্যূনতম পাঠ নেওয়া প্রয়োজন। উড়ন্ত প্রজাপতি কিংবা পাখির কবিতা যাঁরা লেখেন, তাঁদের কবিতায় ঢুকে দেখবেন একটি ‘চলরাশি’ পেয়ে যাবেন। আবার, গাছপর্বের কবিতার শিকড়ে গেলে পাবেন একটি ‘স্থিররাশি’।
আর, ভীষণ একগুঁয়ে, জেদী, নাছোড়বান্দা স্বাধীনতা-সংগ্রামীর কবিতায় পাবেন সূর্যের মতো স্থির স্থিতধী একটি ‘ধ্রুবক’ রাশি।
আবার, প্রত্নতাত্ত্বিক কবিতায় পাবেন বত্রিশ সিংহাসনের তত্ত্ব। কীভাবে ক্ষমতালিপ্সু রাজাবাদশাহেরা বংশ পরম্পরায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন তেন প্রকারেণ ক্ষমতার গদি বা সিংহাসন আটকে রাখেন, ঠিক বীজগণিতের ‘এ পি, জি পি সিরিজ’-এর মতো।
সেইসব কবিতা খনন করলে আরও জানতে পারবেন, —কোনো রাষ্ট্রের কোনো ন্যায়পরায়ণ বিচারপতি যখন এই বংশানুক্রমিক অনৈতিক সিরিজের মাঝে বাধা বা ‘অড্ ম্যান’ হয়ে বসেন
তখন ওই দুর্নীতিপরায়ণ রাজা-রানিরা তাঁদের সেই দীর্ঘ ‘লিনিয়ার ইকোয়েশন’কে সল্ভ্ করার জন্য ‘এলিমিনেশন মেথড’ অ্যাপ্লাই করেন।
কিন্তু, যতই আপনি এলিমিনেট করুন না কেন,
যে আসলে সূর্যের মতো অটল, স্থির, একটি ধ্রুবক রাশি; তার মান তো অন্য কোনো রাশির দ্বারা প্রভাবিত হয় না। তার মান সবসময়, সব স্থানে একই থাকে। তার মানের কোনো তারতম্য বা পরিবর্তন হয় না।
আর সেইজন্যই তো সে— ‘ধ্রুবক’, অপরিবর্তনীয়।


🍁
টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল : ৩০|০৪|২০২৩