একটি একটি করে কয়েক বসন্ত পেরিয়ে
আজ, ষোড়ষী বাতাসে যে হৃদয়পাত্র-টি গড়েছি
বুঝি নি, আমার সেই একান্ত ঘরোয়া নির্মাণে
এতটুকু শিল্প-নৈপুণ্যের ছোঁয়া ছিল কিনা!
তারপর অনেক পথ, অনেক শিল্প-প্রদর্শনী ঘুরে
রোদে পুড়ে, জলে ভিজে অনেক ঋতুসংহার পেরিয়ে
দেখেছি অজন্তা-ইলোরা, খাজুরাহো'র স্থাপত্য ভাস্কর্য
দেখেছি রহস্যময়তার অপরূপ সব বিচিত্র বিভঙ্গ!
দীর্ঘ পরিভ্রমণ শেষে আমার পোড়ামাটির হৃদয়পাত্রখানি
বড় দীণতায় সঙ্কোচে নিভৃতে তুলে দিয়েছি ভাস্করের হাতে
শিল্পী তাঁর নিপুণ হাতের চর্চিত আঙুলে মেপে চলেন—
শিল্পের গভীরতা, ভাস্কর্যের নির্মাণ সৌষ্ঠব।

অবশেষে, শিল্পী তাঁর ধ্রুপদী ব্যাকরণ মেনে
আমার হৃদয়পাত্রখানি তুলে ধরে সম্পূর্ণ উপুড় করেন;
শ্যাওলা-গুল্মের বুকে বয়ে যায়
নৈসর্গিক প্রেমের শিল্প ও সৃষ্টির আদিম স্রোত!