গড্ডলিকায় ভেসে যাওয়া বাঙালী হুজুগে
কথায় মারিতং সবাই আসলে সব কাগুজে,
উড়ো খবরে উড়ে উড়ে সারাদিন কপচায়
যা বলার নয় তাও বলে শুধু সময় কাটায়।


রে রে করে চিৎকার যদি করে কোন জন
তাতেই বিন্দাস সঙ্গত দেয় বাঙালীর মন।
লেগে গেল ধুমধুমার জানল না হয়েছে কি?
ছড়িয়ে দিল আলোচনা কত রকমের মেকি।


একটা কিছু নতুন এলে প্রথমে বলবে না না
তারপর তাকে নিয়ে করবে হাজার জল্পনা,
মুরব্বী খুঁজে টুঁজে তার কথাই মেনে নেবে
হয়তো বা প্রবল বিক্রমে তাকে বাধা দেবে।


বাধায় এগিয়ে গিয়ে তুচ্ছ জমিজমার লড়াই
ছাড়বে না একচুল মানবে না বিপক্ষের বড়াই,
বেগুন গাছে আঁকশি দেওয়া ছেলে হবে সেরা
বাঙালী এখনও কীর্তন আর পাঁচালীর অপেরা।


ওদিকে নাসায় ছোটাছুটি মঙ্গলে শোরগোল
প্রযুক্তিতে আরও যুক্তি বিজ্ঞানের হাল্লাবোল,
প্রাণের ভেতরে প্রাণ খোঁজা চলছে অফুরান
বাঙালী এসব চায়ের দোকানে তুলছে তুফান।


আরো সব যা কিছু পায় এর ওর পেছনে লাগা
হি হি হা হা করে আসর মাতায় সব রাত্রি জাগা,
পাশের বাড়ির কে বড় হল কার হল কেন বাড়ি
এসবে বাঙালীরা কাঠি দিতে দণ্ডবৎ বলিহারী।  


তবু বৈশাখ আসে আর যায় তপ্ত দহনে পোড়ে
হৃদয়ের সংলাপ ঘরবন্দী মোহ মায়ার মোড়ে,
বাঙালীর ছিল, আজও আছে থাকবে ভবিষ্যৎ
মননে বাঙালী এগিয়ে যাবে রাখবে না কৈফিয়ৎ।


এই আশাতে এই পাঁচালী বাঙালীকে চেনাবেই
জগৎ সভায় নিজের আসন শ্রেষ্ঠ সে করবেই।