সাগরের শুকিয়ে যাওয়া জলটুকু খেতে
আমাদের বাড়িতে বুড়িমা প্রায়ই আসত;
ঠুকে ঠুকে আসা লাঠিটাকে পাশে রেখে
উঠোনে হাঁফ ছেড়ে হাত পা ছড়িয়ে হাঁক পাড়ত
কই গো, বড় লোকের নাত বউয়েরা সব
কোথায় গেলে।
মধ্য বিকেলে আমরা সবাই জড় হতাম
শুনতাম অতীত দিনের নরম গুরুচণ্ডালী
কখনও হাসতাম কখনও বা আদি রসে
ঝরে পড়ত রূঢ় কান্নার রোষ শুনতাম।
আমরা সে সব বুঝতে পারতাম না
কিন্তু মার সঙ্গে চলত তার বিরামহীন
কথ্য কথকতা।
তারপর চলে যেত আর রেখে যেত
মুঠো মুঠো হাজারো আগামী দিনান্তের স্বপ্ন।


সেই বুড়িমা আর আসে না,
আমার মায়ের বয়সও প্রায় তাঁকে ছুই ছুঁই;
সেই দিনান্তকে মনে করে আমার চোখও
লাঠি ঠুকে ঠুকে  
দূরের ঝাপসা আকাশটাকে দেখে।


                        -০-০-০-০-