দূরে মাঝি গুণ টেনে যায়
গাইছে হয়তো কোন ভাটিয়ালি সুর ,
দাঁড় পাল সব গুটিয়ে রাখা
ভাসছে সে কোন অপার দুঃখ সুখ ;
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের সাথে
বললে – কি গো , এই তো তুমি ;
নিজের স্রোতে নিজেই তুমি
নিজেকেই গেছ ভুলে ।


কত সব ধূলিকণা ডিঙ্গিয়ে আলোর বর্ণমালা
রোজ সকালে হৃদয় ধোয়ায় ;
কুটির জুড়ে আঁধার ভরা শীতল তরঙ্গে
তাও কি যে ঘুরে বেড়ায়
খোঁজ রাখে না কেউ ।
বাড়ছে সুপ্তি দাবদাহ ঘুরছে ফোটন বিদ্রোহ ।
বললে – কি গো , এইখানে যে তোমার চলাফেরা
নিজের খেলায় নিজেই তুমি
পথ হারিয়ে গোলক ধাঁধাঁয় ।


মেঘ গুলোকে সরিয়ে দেয়
পাতার সাথে নাগরদোলা
যুগ পত্তন হাওয়াই খেলা
ঘূর্ণি তোলে রুক্ষ আমেজ মাতন ভেলা !
তারই সাথে আবরণের ওঠা নামা
লুকোচুরি শ্বাসের যাওয়া আসা
বাদল বিকেল জোরে হাঁটা ।
বললে – কি গো , এই তো তোমার কুঠি
নিজের বাঁধন নিজেই তুমি
আলগা করে চললে কোথায়
কোন অজানায় মুখের বদল মুখের খোঁজে ।


এইটুকু এই পথ আমার জীবন সর্বময় ।।  
              -০-০-০-০-