আমি বেশি কিছু করতে পারি না ।
দাদা বলত- তোর দ্বারা কিছু হবে না ।
বাবা বলত – আমাকে এক গ্লাস জল দিতে এতটা ফেললি
কি করে ঘিঞ্জি রাস্তায় নিজেকে বাঁচিয়ে চলবি ?
মা বলত – ছড়া বলতে এত ছড়িয়ে দিলি
জ্ঞানের পাহাড়ে উঠবি কি করে ?
শিক্ষক বলতেন – একটা লাইন টানতে এত হোঁচট খেলে
জীবন চিত্র অস্পষ্ট হয়ে যাবে ?
দিদি আমাকে সব সময় ঠেলা দিত – কি রে ,
কি ভাবছিস ? কখন বলবি?
সব তো শেষ হয়ে এল ?
বন্ধুরা আমাকে পাশে দাঁড় করিয়ে রাখত – বাদ দে ওকে ?


কেউ কোনদিন আমার হেঁটে যাওয়া দেখেই নি
ভেবেছে – ধুর ! ও তো আর পাঁচটা চলমান ।


কিন্তু ঘর আমার জন্য আঁচল পেতে রাখত – এতেই হবে,
এই বেশ , ঠিকই তো আছে ।
নিজের বুকের ভেতর আত্মকে খুঁজে পেতে
‘সিনি’র হাত ধরেই বুঝেছি
- আমারও আগামী আছে।


আমার আগুয়ান তাই এখনও চলছে আপন দিশায়
অতীতের ভিত্তিতে বর্তমান পৃথিবীর পরিক্রমায় ।