আমি যখন কাঠি নাচ করতে করতে
পায়ে পা পড়ে যাচ্ছি
আমার শৈশব তখন আমাকে তুলেছে ।
পুকুর ঘাটে তাল অশ্বত্থ আর অর্জুনের
জোড়া ফাঁকে বসে আমি
কলমির ডাঁটায় ফড়িংগুলোকে দেখছি
তখন মা ডাকছিল – গোপাল, খাবি আয়।
রাস্তায় কানাই আমার পেছনে
দাঁড়িয়ে বলতো - এই পাগলা পড়ে যাবি যে!
আমি আর বাচ্চু তারপর রাস্তার কাদা জলে
বার মাস খেলতে খেলতে
খালের ধারে বসি আর
জলে ভেজানো পাটগাছের পাটাতন কিংবা
কলার মান্ডাসে উঠে
সারা শরীরটাকে ধুয়ে ফেলত
আমার শৈশব।
গ্রীষ্মের দুপুরে গাছের ডাল ধরে
ঝুলতে ঝুলতে ঝাঁপিয়ে পড়ে
পুকুরের কাদা জল পেটে চলে গেলেও
সে কথা আমি কাওকে বলিনি
এমন কি আমার শৈশবকেও না ।
ঘুঁটে গোবরের গাদার উপরে বাঁশের মাচায় ঝুলত
তরুলি, চিচিঙা, উচ্ছে আর ঝিঙে
এসবের মধ্যে আমার শৈশবকেও
আমি ঝুলতে দেখেছি
অনেকবার।


তারা সব যেন ঘুমিয়ে আছে
কোথাও না কোথাও
আমার এদিক কিংবা আমার ওদিক।
      -০-০-০-