নদীর তীরেই খুঁটি গেঁড়ে বসেছিল ,
স্রোত ঝঞ্ঝা উথাল পাথাল
বান বাড় ধস
এ সবের মোকাবিল করেও
ধীর স্থির হয়ে দাঁড়িয়েছিল একভাবে ।
আদিম সেই বাঁচার রাস্তায়
আরো অনেক অত্যাধুনিক উন্নত
সভ্যতার আগামী মাপকাঠি গড়তে
বদ্ধ পরিকর চোখ
সাবলীল সুদূর প্রসারী কর্মমুখর
ঘাম ঝরিয়েই চলেছে ।
প্রতিটি ইট কাঠ বালি পাথরে তারই ইতিবৃত্ত
জীবনের প্রত্যয় ঘোষনা করে ।
তবুও বঞ্চনার সাপেক্ষ দস্তাবেজ
কাঁধে জোয়াল টেনেই চলেছে ;
আর ওদিকে ব্যস্ত প্রহরায় পাল্লা দিয়ে
ট্রেন প্নেন বাস ট্রাক সুপার সনিক
আরো জোরে আরো জোরে দৌড়ে যায় ;
পেছনের খুচরোগুলো
আজও মাটি কুপিয়ে যায়
ক্রমাগত ঝুরঝুরে করে তোলে
সুখ আরামের ঘরপুষ্ট বারান্দা ।
কষাঘাতের চিৎকার
মালিকের মেরুদণ্ডে পিঁপড়ে মত ঘোরে
মজুরীর টালবাহানা
কোদাল বেলচায় দুঃখ কিনে খায় ,
ইটের দাঁতাল মুখ
নদীর সময় স্রোতে লিখে রাখা শ্রমের বিবরণে
মুখ থুপড়ে পড়ে থাকে
শ্রমিকের ভাঙা মেরুদণ্ড কঙ্কাল ।
নদীর পাড়ে স্তরে স্তরে পলির আকুতি
শ্রমের জীবন্ত জীবাশ্ম হয়ে
অনন্তের অববাহিকায় ছড়িয়ে পড়ছে যুগে যুগে ।।