কবিতা গল্প বা কোন লেখা পড়ে আমি ভাল দারুণ খুব সুন্দর মুগ্ধ হলাম ইত্যাদি মন্তব্য করি। অর্থাৎ পড়ার শেষে এই মন্তব্য দিয়ে শেষ করি। সমালোচনা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করলেও নির্দিষ্ট সংযোগ একে অপরের পরিস্থিতি পরিবেশে সঠিক সহাবস্থান না থাকলে সমালোচনা করা উচিত নয়। কেন না কবি বা লেখক যে বিষয় উপলব্ধি করেছেন, অথবা উপলব্ধির না করেও শব্দচিত্র ভেবেছেন তিনি সেটাই লিখেছে। আমার কাছে সে বিষয় অধরা হতে পারে বা ভুল দিশায় যেতে পারে বা সারবত্তাহীন লাগতেই পারে। আমি হয়তো বিরুদ্ধ যুক্তিও দেখাতে পারি। তারপর সেও তার যুক্তি দেখাবে। মেনে নেওয়া বা মানিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে দ্বন্দ্ব তার জায়গা করে নেবে।
তার কারণ প্রতিটি লেখকের একটা নিজস্ব মাত্রা ভাবনা ও আবর্তন থাকে। কিছু গর্ব বা অহংকারেই হোক সে কিছুতেই তার পৃষ্ঠা বদল করতে চায় না। ছন্দ মাত্রা লয় শব্দ তান ইত্যাদি ব্যাপার ধরিয়ে দিলে হয়তো বা মেনে নেয় কিন্তু কাব্যিক চর্চার ভাবগত দিক তুলে ধরলে অনেকেই মানতে চায় না।
এক গ্রুপে বললাম কবিতাটি আর একটু সাবলীল হলে ভাল হত। কবি তো তেড়ে এল, বলল – এর চেয়ে আর কি পরিচ্ছন্ন চান। তারপর অ্যাডমিন সেই কবিতাকে সেরা ঘোষণা করল। পড়তেই যা খটমট লাগছিল। প্রায় বিশ তিন জনকে বললাম – কবিতাটির সারমর্ম কি? উত্তর পেয়েছি দু একজনের কাছ থেকে। বেশির ভাগই তো বলে অন্যের লেখা আরও বেশি করে পড়ুন বুঝতে পারবেন আমার এই লেখাটি।
তাই আমিও পড়ি এবং সেই লেখক কবি সাহিত্যিক যদি পড়তে থাকেন তিনি নিশ্চিত বুঝে যাবেন ঠিক লেখাটি কি? কেন এ আমার কবিতা নয় কিংবা কবিতা। তাই অনেক মন্তব্য কম মন্তব্য কিংবা সমালোচনা বা প্রশংসা সব কিছুই গ্রহণযোগ্য কিন্তু সুদূরপ্রসারী নয়। ভাবনা যেমন নেই তেমনি শেখা তার নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে যাবে।