১.
হৃদয়ে
তুমি আবির্ভূত হও আমার সম্মুখে
প্রতিটি মুহূর্তে নূতন নূতন রূপে।
কখনও বা গ্রীষ্মের বৃষ্টির পশলা হয়ে
ঝরে পড় আমার তপ্ত হৃদয়ে।
তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতিতে
খুশির বাতাস বয় আমার ধরণীতে।
কখনও বা শরতের শিউলি হয়ে
মিষ্টি গন্ধ ছড়াও আমার ক্লান্ত হৃদয়ে।
তুমি আবির্ভূত হও আমার সম্মুখে
প্রতিটি মুহূর্তে নূতন নূতন রূপে।
কখনও বা শীতের প্রভাতের সূর্য হয়ে
কিরণ দাও আমার কোমল হৃদয়ে।
ওগো! শুধু তোমার আগমনে
আনন্দের জোয়ার আসে আমার মনে।
কখনও বা বসন্তের কোকিল হয়ে
সঙ্গীত সুধা ঢালো আমার তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে।
তুমি আবির্ভূত হও আমার প্রাণে -
আমার ধরণীতে নূতন নূতন রঙে।
গ্রীষ্ম ও বর্ষায়, শরৎ ও হেমন্তে,
শীত ও বসন্তে - প্রতিটি মুহূর্তে।
© দীপঙ্কর সাধুখাঁ
30 শে মে, 2015।
২.
কবিতা আমার প্রেম, তুমি ভালবাসা
আমার হৃদয়ে আছে কত কিছু জমা;
কিভাবে প্রকাশ করি নেই তার ভাষা।
তোমার উপমা তুমি শোন প্রিয়তমা!
কবিতা আমার প্রেম, তুমি ভালবাসা।
মনে হয় বারে বারে ফুটি ফুল হয়ে-
কত কিছু লিখে যাই, এ সব কবিতা।
তুমি আছো সারাক্ষণ আমার হৃদয়ে;
এটি কোন প্রেম নয়, ভালবাসা, মিতা!
কবিতায় ব্যক্ত হয় আবেগ-উচ্ছ্বাস;
এটি নয় ভালবাসা, এ আমার প্রেম।
সুখে দুখে এখনও করি সাথে বাস-
এটি শুধু ভালবাসা জীবনের ফ্রেম।
তুমি হলে ভালবাসা আছো তুমি বুকে;
কবিতা আমার প্রেম র'বে লোক মুখে।
© দীপঙ্কর সাধুখাঁ
রচনাকাল: ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
ইংরেজি: ২৬শে মে, ২০২২।
৩.
আমার নিজের জগত
দাও না সাহস তুমি কবিতা লেখাতে;
সারাক্ষণ যুদ্ধ করে লেখালেখি করি।
কেন তুমি দুর্ব্যবহার কর দিন রাতে?
কটূ কথা বলো তুমি যদি পেন ধরি।
আজকের পৃথিবীটা নয় সুখী স্থান;
প্রকৃতির হত্যা লীলা চলে অনায়াসে।
দিনে দিনে লোকজন হয়ে বেইমান
মেতে আছে অপরের বড় সর্বনাশে।
আমার কাব্যের ক্ষেত্র স্বাধীন জগত;
বড় সুখে থাকি আমি এই পৃথিবীতে।
দিনে রাতে ইচ্ছামতো চলি কত পথ;
সফল হবে না কেউ তাকে ভেঙ্গে দিতে।
এ জগতে বেঁচে র'ব আমি ততদিন;
লেখালেখি করে যাব আমি যতদিন।
© দীপঙ্কর সাধুখাঁ
রচনাকাল: ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
ইংরেজি: ২৮শে মে, ২০২২।