কুয়াশার চাদর ভেদ করে-
পুকুরের পূর্ব পাড়ে উঁকি দিচ্ছে নতুন সূর্য,
সবুজ ঘাসে শিশিরের ছোঁয়ায় হয়েছে নতুন সকাল,
ঘুম ভাঙ্গতেই কিচিরমিচিরে ব্যস্ত পাখিদের দল,
উঠোনে ছিটিয়ে দেয়া কয়েকটি ধানে ঠোঁট বুলায় পোষা পায়রা।
গত রাতের উদযাপন শেষে
এ যেন এক নতুন প্রভাত;
রোজকার গল্পেরই যেন আরেক রূপে প্রত্যাবর্তন!
বদ্ধ পুকুরের হিম শীতল  জলে
এক ডুবে যেন পেলাম নতুন উচ্ছ্বাস;গঙ্গা স্নানের তৃপ্তি।
মায়ের হাতের পায়েসটা অমৃত সম।
অসুস্থ বাবার অমলিন হাসিটা যেন
এ জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার।।


বিছানায় উল্লাসে এক শিশুর  হামাগুড়ি,কিংবা
বাবার হাতে ভর করে হাঁটতে শেখা।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে এর পর কাটলো অগণিত প্রহর;
কিছু প্রাপ্তির অবারিত সুখে স্বর্গলোকে ভাসা,
না পাওয়ার ঘাত প্রতিঘাতে কিছু যন্ত্রণা।
সময়ের পরিক্রমায় আবারো-
সামনে এসে দাঁড়ালো আজ আরেক মধুর মুহূর্ত
ঘড়ির তিনটি কাটার উলম্ব মিলনে আমাকে জানান দিয়েছিল মধ্যরাত-
আজ আমার শুভ জন্ম-লগ্ন,
এক কম আড়াই যুগ আজ ষোলকলায় পূর্ণ!আর-
কালের যাত্রা পথে আমার তিরিশে পা......


রচনাকালঃ ১১/১২/২০১৫
(২৯ তম জন্মদিনে)