এই শুনছো?  
সরি, প্রথমেই তোমায় সরি বলছি, আসলে কি জানো আমি কখনোই তোমায় দূরের কেউ ভাবিনি, যদিও আমাদের মাঝে কোনো সম্পর্কের বাঁধন তৈরি হইনি, তবুও কেন জানি তোমায় কখনো অচেনা লাগেনি।
আমার নিজের অজান্তেই মাঝে মাঝে তোমার উপরে অনেক আবদার করে বসি, যা আসলে ঠিক না। একপ্রকার অনধিকার চর্চাই বলা যেতে পারে। তাই আবারো সরি।


এই শুনছো?
জানো যখন তোমার সাথে কথা বলি, আমি কেমন বাচ্চা মানুষের মত হয়ে যাই, ভালো লাগে তোমার কাছে নিজের প্রশংসা শুনতে, তুমি যখন নানান কথায় আমার প্রশংসা কর, তোমার মুখের ছবি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে, তোমার চোখ দু'টো খুব চঞ্চল থাকে তখন, মনে হয় যেন আমারি অপেক্ষায় ছিলে তুমি অনন্তকাল ধরে।


এই শুনছো?
আচ্ছা বলতো, আমার ভাবনা কী মিথ্যে, আমি যা ভাবছি সত্যিই কী ভুল ভাবছি? তোমার মনের কোণে কিসের এত কষ্ট জমা, এটা জানতে চাওয়ায় কী সত্যি তুমি খুব কষ্ট পেয়েছ? বিশ্বাস কর, আমি তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য প্রশ্ন করিনি।
আমি চেয়েছি তোমার থেকে কিছুটা কষ্ট ধার নেবো। তা আর হলো কই, তুমি বড্ড কৃপণতা করলে আমার সাথে।


এই শুনছো?
তুমি কি জানোনা একটা সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো  বিশ্বাস, যদি বিশ্বাস করতে না'ই পারো তাহলে কেমন করে চলবো আগামীর পথ? একবার নিজের বুকে হাত রেখে বলতে পারবে? আমায় কতটুকু বিশ্বাস করেছো তুমি।


এই শুনছো?
আমি না সেদিন খুব কষ্ট পেয়েছি। তোমার চোখে চোখ মেলানোর সাহস আমার ছিলনা সেদিন, তোমার ওখান থেকে চলে আসার পরে অনেক কেঁদেছি, জানিনা কেন। কোথায় যে আঘাতটা লাগলো বুঝতে পারিনি।
শুধু এতটুকু অনুভব করতে পারছিলাম আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল, বুকের বাম পাশে চিনচিন ব্যথা অনুভব হচ্ছিল। থাকনা এসব কথা, এখন আমি ভালই আছি।


এই শুনছো?  
তুমি না বড্ড বেশি অন্যমনস্ক, সব সময় অন্য মানুষকে নিয়ে ভাবো। এখন একটু নিজের দিকে তাকাও নিজের খেয়াল ও তো রাখতে হবে। মনে রেখো প্রকৃতির ঝড়ে গাছের শুকনো পাতা যেমন ঝড়ে যায়, আমিও তেমনি হারিয়ে গেছি, বাতাসে উড়ে আসা ধূলা ভেবেই ঝেড়ে ফেলো আমার স্মৃতিগুলো।


এই শুনছো?
চলে যাচ্ছি আমি, হয়ত আর হবে না দেখা, হয়ত বা আবার দেখা হতেও পারে, যদি আবার কখনো তোমার সামনে এসে দাঁড়াই, আমাকে অচেনা ভেবেই এড়িয়ে যেও, সেদিন হয়ত কিছুটা কষ্ট পাবো, তবুও মনকে মানাতে পারবো।
কারণ কি জানো।
তোমার চোখে আমি যে স্বার্থপর ছাড়া আর কিছুই না। তোমাকে শেষ বাড়ের মত বলতে চাই, হয়ত এটাও অনধিকার চর্চা, তবুও বলছি। ভালো থেকো।


৪/৪/২০১৮ সময় রাত ২:৪৯