দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীম,সে নয় ক্ষীন,দীন ও হীন,সে সব্বদাই দুর্জয় বীর,
সে মানে না কারূর আস্ফালন,চায় শুধু দাদার সর্মথন,সে নয় ধীর,
সে সর্বদাই অস্থির,তার কাছে টিকে না কোন বীর,গদাঘাতে করে চুরমার,
অভিমানী দুরাচারী দুর্যোধনে বধ করি,পাপ মুক্ত করল ধরা হলো পরিষ্কার।
রাম মোহন রয়,পৌরূষে ভরা হয়,তিনি অন্যায়ে নয়, সর্বদাই ন্যায়ে রয়,
অন্যায়ে বিরোধীতা,ন্যায় ও সত্যকে গ্রহণ,এগুণ তাঁর চির কালেই হয়।


স্ত্রীকে দড়ি দিয়ে হাত পা বেঁধে, স্বামীর জলন্ত চিতায় ফেলে দিতে হয়,এ কী দৃশ্য হায়!
শুনলে চমকে উঠতে হয়,দেখলে মুর্ছা যায়,এ নৃশংস ঘটনা অষ্টাদশ শতাব্দিতে হয়।
একে সতীদাহ প্রথা কয়। রাম মোহন রায়,গর্জে উঠল সিংহের প্রায়!
সমাজ পতিদের কাছে যায়,প্রতিবাদ তায়,নিল না কথা,তাড়িয়ে দিল কুকুরের ন্যায়।
ভারতের বড়লাট বেন্টিঙ্কের কাছে যায়,মিললো না সায়,যেতে হলো ইংলণ্ডের মহারানীর কাছ।
নারী হয়ে নারীর মর্যাদা রাখলেন মহারানী,আইন সভায় সতীদাহরোধ পাশ,সমাজপতিদের মাথায় পড়ল বাজ।


বেন্টিঙ্কের হাতে আইন এলো,থানায় থানায় জারি হলো,নিষিদ্ধ হলো সতীদাহ প্রথা,
ভীমের ন্যায় রামমোহন রয়,করলেন জয়,সতীদাহ প্রথা তুলি,বন্ধ হলো নারী জাতীর ব্যাথা।