একুশ মানে বাঁচতে শেখা উঁচিয়ে আপন শীর
একুশ মানে মায়ের ভাষা, শহীদ স্মৃতির নীড়,
একুশ মানে বুক ফুলিয়ে বিজয় গীতির দিন
মায়ের মুখের মিষ্টি বুলি-বাংলা অমলিন ।


একুশ মানে ভিনদেশিদের কাঁপন ধরায় মনে
রুখিয়ে দিতে শক্রুসেনা –বাংগালী যায় রণে,
একুশ মানে ফাগুন আসে রক্ত শিমুল ডালে
পিচঢালা ঐ শান্ত মাটি রক্তে ভাসে,লালে ।


একুশ মানে হার না মানা, বিজয় কেতন উড়ে
স্বাধীনতার সূর্য ওঠে-দাঁড়িয়ে ক্ষাণিক দূরে,
একুশ মানে দাবী আদায়- বাংলা মায়ের হাসি
আউল-বাউল,লালন শাহের বাংলা ভালবাসি।


একুশ মানে রফিক-শফিক ; ছেলেহারা মাতা
একুশ মানে বীর বাঙ্গালীর মাতৃঋণের খাতা ,
একুশ মানে প্রভাতফেরি , শিশির ভেজা পা
একুশ মানে শহীদ স্মৃতি-শহর কিংবা গাঁ ।


একুশ মানে খিলখিলিয়ে -
খোকা-খুকির হাসি
বাংলা লিখি বাংলা শিখি
বাংলা ভালবাসি ।


একুশ মানে সোনার ছেলে সালাম-বরকত
একুশ মানে শ্লোগান মুখর বাংলার রাজপথ,
একুশ মানে মায়ের মুখের মিষ্টি মধুর বুলি
ভুলব না’ক মায়ের ভাষা-আসুক যত গুলি।


একুশ তোমার একুশ আমার
শহীদ ভাইয়ের ঋণ,
বেঁচে থাকুক মা,মাটি আর-
ভাষা চিরদিন ।।
...........................
৮ ফাল্গুন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ