কী করে বোঝাব তোমায়-কতদূর ভেসে এসেছি,
পহেলা মানুষ থেকে এশিয়েরি ,ব্যবিলন
সিন্ধু  অথবা প্রাগৌতিহাসিক প্রস্তর সিমানায়,
সভ্যতার ক্ষীণকায় দেহ আজ সুষমায় স্ফীত
মহাকাল যেন  স্ফটিক শুভ্র বিধবা-
বয়ে চলে অন্তহীন ,আর দেখি বিবর্তণের ঘাস ফড়িং ।


অদূরেই পড়ে রয়েছে অবাক মায়াবি এক ক্ষয়াঞ্চু পান্ডুলিপি
পরিত্যক্ত বসতির দূর্লভ নকসা , ঘুম ঘুম চোখ
পড়শি যুবতির রক্তিম ঠোঁট-মানবীয় উত্তরাধিকার;
স্থাপত্যের শৈল্পিক স্পর্শে নির্মিত হয় কোন এক রঙ্গীন দেয়াল।


হলুদভ ঢেউহীন মরা সোঁতা,ভেজা স্বপ্ন
স্বপ্নখাদক বিপণ্ণ প্রহরের গতি
ভাংগে-গড়ে........................
আপন আবেশে গড়ে সুকুমার মেঘের মিনার ।


মরা নদী ভরে ওঠে ভর ভর জোয়ারে
গোলাপ দু’ঠোঁটে দোলখায় একখন্ড সবুজের দ্বীপ ।
সভ্যতার দিগন্ত পাড়ে-শহর ,নগর,গ্রাম-
জাগে কোলাহল,অগনন জনপদ
অভিযোজিত হয় মানুষ ও উচ্ছাস
কেননা, মানুষ তো সময়ের ক্রীতদাস !
......................................................
**১২ ফাল্গুন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ **