অনিবার্য নিয়তির সিমানা প্রাচীর
যেখানে থেমে গেছে জীবনের স্রোত
মরা নদীর সোঁতার মত বিভুক্ষ প্রাণ
কালের গর্ভে বিলুপ্ত প্রায় মানবিক সত্তা
প্রাণহীন কাকতাড়ুয়ার প্রতিকৃতি মনুষ্য জীবন
আত্নাহীন বিপন্ন কোন সভ্যতার বিবর্ণ ফসিল
ব্যক্তি থেকে সমাজ, রাজপথে কিংবা
বিশ্ব বিপ্লবের ব্যর্থ বারতা শোনায় প্রগতির কন্ঠ
ঠক ঠক ঠক কাঠঠোকরার অনর্থক ঠুকঠাক
উদাম গতরে উঁকি দেয় একফালি সরুচাঁদ
তবু ঈদের সাধ নিতে জেগে ওঠে পৃথিবী ও শিশু
অণিবার্য নিয়তির সিমানা প্রাচীর
যেখানে এসেছে ঠেকে শহরের পথ
সীমাহীন শুন্যতায় উড়ে স্বপ্নীল প্রজাপতি
বাড়ন্ত প্রগতির ভারে নুহ্য বৃদ্ধ পৃথিবী
ইট ভাংগা হাড্ডিসার ঈদের সরুচাঁদের মত
আধখানা মানবের প্রতিচ্ছবি আঁকে
হাড় পিঁজরে নারী ও শিশু
এক টুকরো ঈদের স্বাদ নিতে হুমরি খায়
এক বস্তি থেকে আরেক বস্তিতে...............
আপন রক্ত মাংসে গড়ে সুরোম্য অট্রালিকা
এক একটি মানবের নিথর দেহে বসে
পুঁজিপতির বিভুক্ষ শকুনের দল
প্রাণহীন মানব দেহ মরেও বেঁচে থাকে
যেন বিপন্ন সভ্যতার এক একটি ফসিল
তবু ও ঈদ আসে একফালি সুখের মোহে
তার পর থেমে যায় মানবের গন্তব্য
যেখানে থেমে গেছে নিয়তির সিমানা প্রাচীর ।