এ মাটির গন্ধ বড় মোহময়
রাত্রী;রমনী যেন কমনীয় রয়,
বাঁশ ঝাড় শিমুলের কাঁঠালের ছায়
কুমারী ধানের ক্ষেত,বন মহুয়ায়।
ঝাঁঝালো দুপুর আনে প্রকৃতির নীদ
থেমে যায় প্রজাপতি ,পাখিদের গীত।
মাঠে যায় ধেনু নিয়ে রাখালের দল
স্নিগ্ধ শীতল নদী করে টলমল,
মাছরাঙ্গা ডুব যেন শ্রাবণের জল
আম -জাম ,জামরুল পাকে পানিফল!
এ মাটির গন্ধ শুকি সবুজ ঘাসে
এখানে বসন্ত ডাকে দিন-রাত মাসে
বুনোহাঁস ,পানকৌড়ি,জলপিপি-বালিহাস
বক ডাকে ঝাউশাখে;শরতের কাশ ।
চাঁদ হাসে মিটি মিটি-জোছনার মুখ
নদী টানে -নারী টানে অজানার সুখ।।
সাঁঝের আঁচলে এসো খাই লুটোপুটি
যাতনা-বিস্বাদ যত দিয়ে দিই ছুটি!
এ মাটির নরমকোল ঠিক বিছানা
এসো তবে একবার-বলি মিছা না ।।
সবুজ ঘাসের বুকে চুমি তার গন্ধ
এ মাটি মায়ের বুক নেই তাতে দন্দ্ব !
এ মাটি আমাকে টানে নদীর মত
কল্লোলিত  হিল্লোল;কুমারী শত !!