উত্তর বসন্তের গায়ে ভেসে ওঠা মরা চর
তামাটে যৌবন নিয়ে ডাকে বসন্তের খেয়ালি কোকিল
চাঁদের স্নিগ্ধ আলোর আভায় জেগে ওঠে পৃথিবীর বুক;
সদ্য স্নান করা এক রমনীর শীতল দেহ
জানালার ফাঁক গলে ছুটে আসা একঝাঁক মিষ্টি বাতাস
কিংবা ব্যালকনির কোণায় একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ।
আকাশ দেখার ছলে আরো কাছে থাকিবার
জানালার ফাঁকটাতে চোঁখে চোঁখ রাখিবার
আলো-আঁধারের রুপ সারা গায়ে মাখিবার !
ভুলতে চাইলেই কি ভোলা যায় ,
ভুলে থাকা যায় কি স্মৃতির আকাশ ?
নরোম রোদের মত নুয়ে পড়া উঞ্চতা
খুব কাছাকাছি দু’জন দু’জনার
ঠিক সাগরের বুকটাতে একটি নদীর বুক
মিলে মিশে একাকার
পেন্ডুলাম দোল খাওয়ার উঞ্চ পরশ ।
পৃথিবীর ঘুর্ণয়মান আবর্তে এক একটা মুহুর্ত
এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দোল খাওয়া
আমার সঞ্চয় বলতে অই টুকুই সুখ
অনাগত স্বপ্নের হাত ধরে বেড়ে ওঠা
তার পর পথ চলা ;নদীর ঢেউয়ের মত
নিয়তির বুকে নিজকে ভাসিয়ে দেয়া
যেন কোন এক হা-ভাতি কৃষাণের দোফলা জমিন
ধারাল ফলার চাষে এফোঁড় ওফোঁড়
অধরা সুখের মোহে তবু বেঁচে থাকা
পেন্ডুলামের মত সময়ের সাথে দোল খাওয়া ।।