মহাকালের সুউচ্চ প্রাচীর এক
ঠায় দাঁড়িয়ে আমার গন্তব্য পথে
ফেনিল সমুদ্রের ফিসফাস গর্জন
লক্ষ নেটিক্যাল মাইল জুড়ে গন্তব্যের প্রান্ত সিমায়
মহাসমুদ্রের জলরাশি করে বিদ্রুপ
অবোধ্য গন্তব্য চোঁখে এক খণ্ডিত বেলা ভুমি
আমার জীবন।
শিশিরের নরোম তৃণভুমির মত ছোট্ট দেহখানি
প্রতিটি কোষজুড়ে আঘাতের ক্ষত চিহ্ন
নেই কদম কেয়ার বাহারি হাসি,ডাহুকের মায়াময় ডাক
সোনাভানের পুঁথির সূর,রাখালি বাঁশি সে তো দূরে থাক !
ঢেঁকিছাটা চাল জাদুঘরের পাটাতনে আমার গন্তব্য রেখায়
অতন্দ্র প্রহরীর মত ঘাড় বাঁকায়
অবোধ্য গন্তব্যে চলে আমার হাইব্রিড সুখ পাখি !
নেড়িকুত্তার ঘেউ ঘেউ চেচামেচি
অতি সংগোপনে নিজকে আয়নায় দেখি
উইয়ে ধরা ক্ষয়াঞ্চু পান্ডুলিপি কোন এক অখ্যাত কবির
সাধ জাগে আজন্ম হতে ইতিহাস
এভাবেই বেঁচে থাকা ,করা চাষ বাস
এখানে সংগীন নিষ্ঠুর রাজপথ
ইটের পাজরে পিষ্ট মানবতা
ঠিকানা হারিয়েছি কবেই বসতি ও ঘর
পলিমাখা জমাজমি বিরান এক চর ।।