তুমি চলে যাবার পর
শুনশান নিরবতায় ঢেকেছে আমার ঘর
বাড়ীময় গাঢ় অন্ধকার এক
নেচে নেচে করে উড়োউড়ি-
কবেই থেমে গেছে প্রভাতের গান
সজনে গাছের ডালে দোয়েলের শিস
ওপাড়ার শুক্কুরের মায়ের ঢক ঢক ঢেঁকির আওয়াজ
তোলপাড় করে আমার হৃদয় বন্দরে
আর আমি দুরাগত কোন এক দিগভ্রম নাবিক
উদ্ভ্রান্তের মত নিরব দাঁড়িয়ে থাকি
পলেস্তারা খসে এক বিপন্ন দেয়াল......।
মানুষ হবার নেশায় পোশাকি মানুষ
হয়তো রক্ত মাংসে মানুষই ছিলো
খোলস গহীনে হাসে ফানুসের রূপ
মানুষ খেকো হও,গোলাপ মারিয়ে যাও
আর খাও চেতনার শুভ্র কপোত
মানুষ আর অমানুষে নেই আজ বোধ!
তুমি চলে যাবার পর
কেঁদেছে সবুজেরা করাতের করাল গ্রাসে
কুমারিরা ভুলে গেছে পথ চলা
শুনশান পথ ভোলা নদীর মতন।
তুমি চলে যাবার পর
অগনিত মানুষের ভীড়ে
হারিয়ে ফেলেছি আমি
মানুষের মুখ।
উদাম গতরে বরফে ঢাকা টাটকা ইলিশ
বিদ্রুপ করে এক একটি মানবীয় আত্না
তবে কি মানুষ ছিলে ?
ছিলে বটে ।মানুষের রক্তে মাংসে-
ফরমালিনের মুড়ানো এক মানুষের দেহ
সবুজের মত সতেজ অথচ
কফিনে মুড়ানো এক অশরীরি
খেয়ালী ফানুস !
তুমি চলে যাবার পর
এখনো খুঁজি তাই মানুষের ভীড় ঠেলে
একটি মানুষ ।।