এখন প্রত্যহ ভোরে পাহাড়ি মেয়েটি নাচে
নেচে নেচে গানধরে দোয়েলের স্মৃতি ,
ফেলে আসা শৈশব ডোবা হয় ,দিঘি হয়
ভরা বর্ষায় ভাসে কলমী হৃদয় ।


গলেযায় ঢলে পড়ে -
পড়ন্ত বিকেল ; সময়ের স্পীত গতি
শুভ্র মোমের মত অন্তহীন জ্বলছি ,
জ্বলছে বন্ধুর মুখ- বৈরি বাতাসে উড়ে লুপ্তস্মৃতি ।


উড়ছে সময়ের মেঘমালা-উম্মিমালায় মাছের মিছিলে
উড়ছে স্কুলগামী উচ্ছল বালিকার জর্জেট ওড়না
অবেলার  বৃষ্টির মত ধুয়েদেয়  
স্মৃতিদের পোড়া মুখ   -আর যারা রবাহুত আমার মতন  ।
দেদুল –দুলু , রেবেকা কিংবা মুনিরা-
রুপোলী আয়নায় আঁকা মুখ ;
কাকের মত কোমর অব্দি পানিতে সে কী উচ্ছাস
পাগলী মণুটার ……………………



সেই সৈয়দের হাটের বুড়ো বটগাছ
ঠিক যেন বৃদ্ধ সময়ের গতি – নিরব দর্শক !
সময়ের ঘোড়াদের হ্রেষাধ্বনি –রুপোলী নদীর তীরে
ফুল হয় ,পাখি হয়- শুভ্র সকাল হয় –


আর হয়  রাখী
উড়ে চলে শিশুকাল
আমি চেয়ে থাকি ।