** **


নিকোষ কালো ঘনঘোর আঁধার
মরু আফতাব ম্লাণ
দূর গগণে নবচন্দ্র হাসে
গাহি মানবের জয়গান ।


মানবতার ঐ সবুজ জমিন
পুড়ে খাক পাপতে হায়
কাঁদে মানবতা অসহায় নারী
মুক্তির আঙ্গিনায় ।


ফুলবিহীন ঐ গুলবাগিচা
বিরস বদনে কাঁদে-
সুস্মিতা নারী বলিহয় কত
খবিছ হোবলের সাধে !


যেটুকুন আলো ছিল পৃথিবীর
খেজুর শাখের মাথায়-
ক্ষয়ে ক্ষয়ে হয় নিঃশেষ সেটুকু
জুলুমের আধারে হায় ।


মরুভুমে  সব খা খা বালুকণা
শোষণের তপ্তবায়
আগুনের ফুলকি সব দিকে ছুটে
মানবতা পুড়ে যায়।


মেঘের আড়াঁলে দীপ্ত রবি তুমি
হাসো আমেনার ঘরে
উষর মরুতে সবুজের ক্ষেত
ফুলে ফলে ওঠে ভরে ।


নিকোষ আঁধার দূর হয়ে যায়
কার আগমনে হায়-
হেলাল সিতারা জেগে ওঠে দুলে
আলোকের বন্যায় !


হোবল মানাত দুঃখের সাগরে
ডুবিয়া মরিতে চায়-
পূঁজারী হারিয়ে, পুঁজা হারিয়ে
নিঃসঙ্গ – নিঃসহায় !!


আলো এসেছিলে ধরাধমে তুমি
আলো দিতে ধরাতলে-
কি আসে যায় তোমার তাহাতে
তাগুতের চক্ষুজলে !


যে রবি’র এত প্রভা বিকিরণ
এত আলো প্রভময়
সে রবি সারা দুনিয়া জুড়িয়া
আধাঁরের শংসয় !


যাঁর রহমত লয়ে বুকে আজ
সিক্ত   পৃথিবীতল
খোদার শ্রেষ্ট হাবিব তিনি
অবিচল অবিরল !
হে রহমতে আলম !
খোদার হাবিব তুমি
কত বিল্পব সভ্যতা আসে
তোমারই পদচুমি ।


যে চাঁদের উদয়ে খসে পড়ে শত
পাপিয়া তারার দল-
থর থর থর কেঁপে ওঠে যত
অনাচারি পদতল !


কত নৃপতির গদিখানা কাঁপে
সত্যের প্রকোপে হায়
যুলুমের ভক্ত জালিম কত
পুড়ে পুড়ে লয় তায় !


দজালা ফোরাত ফুঁসে ওঠে- হকে
বুকে নিয়ে শত ঢেউ-
দুঃখের সাগরে ডুবে ডুবে আর
মরিবেনা হেথা কেউ !


পাড়ারে পাহাড়ে আসে সে গর্জণ
তুমুল ঝড়ের ডাক-
নুহের কিসতি জাগিয়া উঠিছে
মানবতা বেঁচে থাক ।


রোমান সিরিয়ার কিসরাগন
ভাবিয়া মরে বসে
অত্যাচারির কালো মুকুট
বারে বারে পড়ে খসে ।


আবু জাহল আর আবু লাহাবের
সুখের নিদ্রা হারাম
ঝড় আসিয়াছে তাগুত তাড়াতে
রাসুলে-ই- আকরাম ।
লাত উজ্জা ধুলোয় লুটায়
কাঁদিয়া ভাসায় বুক
সারা পৃথিবী ঘুরিয়া কোথাও
পাইবেনা আর সুখ ।


হে রহমতে আলম
শ্রেষ্ট খোদার নবী
তোমার নামের করুনা গাহে
শিল্পি গায়ক কবি ।