ফোর ! ওয়ান ফোর শুনছো ?
তোমাকে একটা বিষয় জানাতে চাই,
তুমি তার প্রতিবেশী বলে।


আমি যদি ওই স্বচ্ছ চাঁদটার দিকে তাকাই,
আমার জানালায়-
হিম শীতল প্রস্ফুটিত ফুলের শাখায়
আমি যদি স্পর্শ করি
আগুনের কাছে পড়ে থাকা স্পর্শাতীত ছাই
অথবা,
থেতলে যাওয়া কাঠের গুঁড়ি
সবকিছুই আমাকে টেনে নিয়ে যায়
তার পাষণ্ড মনের কিনারায়।


যেন সবকিছুই যা অস্তিত্বময়,
সুরভিসম্ভার,আলো,তারকারাজি
ছোট্ট নৌকাগুলো,যা ছিলো মোর প্রতীক্ষায়
ছুটে তারই দ্বীপপুঞ্জের পানে,রেখে জীবন বাজি।


বেশ। ভালো তবে এখনই
যদি একটি একটু করে তাকে
ভালোবাসার সময় ক্ষয় হয়
তবে মোর ভালোবাসা রুদ্ধ হবে এই ভয়ে।


যদি হঠাৎ
সে একদমই ভুলে যায় আমায়,
আর নাইবা খুঁজে
এই মনে করে,আমিই ভুলে গেছি তাকে।
তখন-
তোমার কাছে আসলে
বলে দিও সে আজীবনই থাকবে
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে।


সে যদি ভাবে এ নেহাৎ পাগলামি
হয়তো ঠিকই উড্ডীন ঝাণ্ডার মতো উড়বো
প্রবহমান জীবন আর আমি।
তবে তাও নেহাৎ পাগলামি
বলে দিও-
একথা বলেছি মূল্যহীন আমি।


আবার,সে যদি সিদ্ধান্ত নেয়
আমায় হৃদয়ের তটরেখায় ফেলে যাবে
যেখানে গেড়েছিলাম দু'মনের শেকড়
তবে মনে রাখে যেনো-
ওইদিন আমার দু বাহু উত্তোলন করবো
আমার শেকড় একাই যাত্রা শুরু করবে
নতুন কোনো ভূমন্ডলের খোঁজে।


সেদিন বলে দিও,
যদি প্রত্যেকদিন
প্রত্যেকটি ঘন্টায়,
সে অনুভব করতো,উপভোগ্য মাধুর্যে
সে হতো মোর নিয়তি।


যদি প্রত্যেকদিন অজান্তেও একটি ফুল
তার রূপসাগরে অন্বেষণ করতো,
প্রজ্বলিত হতো সেইসব সুদীন
যা কখনোই নিঃশেষ হয়নি,হয়নি বিস্মৃত।


ফোর ! ওয়ান ফোর শুনো-
যদি আমি চলে যাই
তখন জানিও তাকে-
সে যতদিন আমায় নিয়ে বেঁচে থাকবে;এই
দেহমন আমাকে পরিত্যাগ না করে
তাকে বাহুবন্ধনে রাখবে।