ইট পাথরের শহরে
এই গলির মোড়ে,রাস্তার ধারে,
তুমি আমাকে দেখতে পাবে
পথিকের দৃষ্টিকোণে,মানুষের কোলাহলে।


তুমি খুঁজিতেছ পুরোনো ক্যাম্পাসের মাঠ-
বোটানি,মিউজিয়াম ও উদ্যানের ছায়ায়
খুঁজিতেছ অচেনা শহরের পথ-ঘাট
দোয়েলের শিষ,কোকিলের ডাকের মায়ায়।


তুমি খুঁজবে আমাকে
ঐ পথের ধারে,লক্ষ-কোটি বছর পরে
সেই একই জায়গায় দাড়িয়ে আছি কোন
আধুনিক রোবটের সাথে-
যার বোধ-ক্ষমতা আছে।


সেই যুগেও তুমি আমাকে খুঁজে হবে ক্লান্ত
অচেনা মায়ায় হারিয়ে যাবে হঠাৎ
তখনও কি থাকবে পূর্বের মতো-
পলকহীনভাবে নির্বাক ক্লান্ত শান্ত?


আমাকে খুঁজে পাবে
ঐ গলির চায়ের কাপে,দোকানের বেঞ্চিতে,
রমনার সবুজ ঘাসে।
খুঁজে পাবে ঐ হৃদয়ে আমায়-
যে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে।


তুৃমি এইসবে খুঁজবে আমায়
আরো লক্ষ-কোটি বছর পরে,
এই আমি আবার আসবো
তোমার সাথে জড়াতে,প্রেম মুগ্ধতায়-
অসহায় থাকবেনা সে প্রেম।


তুমি আমার চায়ের কাপের স্পর্শে,
আমাকে খুঁজে পাবে লক্ষ-কোটি বছর পরেও
যে কাপে আমি চা খাই,ভালোবাসা থাকে মিশে।
পুনরাবৃত্তিতে কেউ হাসবে-
তবুও এর কথাই বলবো,কারণ তুমি ভালোবাসতে।


কোনো স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রমানবের সাথে,
হেঁটে গেলে আজ!
তবু জানি লক্ষ-কোটি বছর পর
পথের ধুলোতেও ভালোবাসা খুঁজে নিবে
চলতে থাকলেও ভয়ংকর কোনো ধূলিঝড়।


আমি রেখে যাবো স্মৃতিচিহ্ন
শহরের সব দালানে,রাস্তায়,পার্কে
লক্ষ-কোটি বছর পর কোনো প্রেমিক যুবক-যুবতী
খুঁজে পাবে সে কথার ঘ্রাণ,এই পথের বাতাসে
আমি সেইদিনও জাগ্রত থাকবো,
প্রেম হয়ে কোন কবিতার বুকে।


খুব ভোরে কুয়াশায় ভরা সকালে চায়ের চুমুকে
খুঁজে পাবে আমাকে-
প্রতিটি চিন্তার অনুভূতিতে,
কোথাও যদি খুঁজে নাইবা পাও তবে
খুঁজে দেখো খরস্রোতা নদীতে।