যখন চুরি হয় কৈলাশ অথবা ভোরের সুর্য!
রাজার অর্ধেক মুকুট পড়ে থাকে রাজপথে;
রাজাহীন রাজ্য নিয়ে বিতর্ক চারদিক,
কেউ একজন চুরি করেছে রাজার স্বপ্ন!
বিপন্ন মানুষ জড় হয়,  নিরন্ন-ক্ষুধার্তের সভায়।
কারা যেন মানুষের চামড়া গায়ে রাজার দন্ড করেছে চুরি!
মুক্তি যদিও আটকে আছে দুঃস্বপ্নের চাদরের গায়,
মানুষ নাকি মৃত শয়তানকে পুজেছে সে?


জনান্তিক জনের কাছে মুক্তির আশা নিয়ে বেচে থাকা-
দাহ হয় নিজের সাজানো চিতায়!
জন্মের জঠরে শুয়ে খুজে পায় অস্তিত্বের সংগ্রাম।
বাজারের চলতি দামে বেচে কেনে যৌবন উথলানো প্রেম!
ভোগের বাসনায় বিবেকের ঐশ্বর্য নিলাম হয়!
জননীর কোল, প্রেয়সীর স্তন, প্রগলভ প্রলোভন মাত্র?
আধারে অদ্ভুত নিশ্চিন্তে নরকের নকশা করে কারা?


মন্দাদরীর কি দোষ আর নিয়তির নিত্য নিদানে?
সব কিছু বেছে দিয়ে সুন্দরীর আঁচল তলায় বাসক পাতায়;-
সিন্ধুর সন্ধান মেলে কার?
তৈলাক্ত তেলে তৃষ্ণা মিটায় পাঞ্চাল সরবরে?
নারদ ব্যার্থ বীণার তান তোলে বধীর, কুঞ্চক কলতানে;
পুবের বাতাস জমা থাকে দোর্দণ্ডপ্রতাপশালীর অন্দরে!
লাল ফসফরাসের পারদ ফুটে থাকে পদ্মের পাতায় পাতায়।