তুমি যে রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে স্কুলে
রাস্তাটি তেমনি আছে,
শুধ যেখানে কথা হত  দেখা হত
সেই ছোট কালভার্ট টি খুব বেশি নিরব।


ঐ পুকুরপাড়, যেখানে কাটত তোমার অবসর
তোমার ছন্দময় পদচারণায় মুখরিত হত
ফুল, পাখি, মাছ।
পাড়ের ধারে যে গাছটির নিচে
লুকিয়ে দেখা হত দু'জনার
তা আজ বড় বেশি নিরব।


ঐ গাছতলায় ছোট ছোট বাচ্চদের সাথে
কুতকুত খেলতে,
কি অপূর্ব লাগতো তোমায়
যখন লাফিয়ে লাফিয়ে দম দিতে।
আর হেরে গেলে, অট্রহাসিতে
ভেঙে দিতে ভরদুপুরের স্তব্ধতা
সে হাসি ধ্বনিত,প্রতিধ্বনিত হত
স্নিগ্ধ বাতাসে।।


রাস্তা ধরে এখন যখন হাটি
ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রই
রাস্তার ঐ কালভার্টটির দিকে
নববধূ সেজে গাড়িতে যাচ্ছ তুমি
আমি পাথরমূর্তি কালভার্টেরর উপর বসে।


কালভার্টের উপর বসে
ঐ বোবা গাছটির দিকে তাকাই
কি শূন্যতা!
বুকটা হাহাকার করে উঠে
কত স্মৃতি ভেসে উঠে চোখেরপাতায়।
একবার ঐ গাছের ডালে বেঁধে রশি
দোলনায় দোল খেতে খেতে
ডাল ভেঙে পড়ে গেলে
উফ,সে কি হাসাহাসি।
স্নান শেষে যখন ফিরতে ঘরে
ভেজা চুলে,
কি যে অপরুপ সে দৃশ্য
ঐ রুপ যেন বিশ্বের সমস্ত রুপের প্রতিচ্ছবি।


উহ্, কি দ্রুত সব বদলে গেল
যেন সব স্বপ্ন ছিল
যেন সব মিছামিছি,
ভাবি,
তুমি কি এখনো প্রান খুলে হাসো
আমিতো হাসতেই ভুলে গেছি।।