হে পিতা, আমরা যে বড় অকৃতজ্ঞ জাতি
আমাদের অপরাধ কভু মার্জনা করো না।
পিতৃহত্যা! কি ঘৃণ্য, জঘন্য
শয়তানেও আমাদের করে বুঝি ঘৃণা।


পিতা, তুমি হিমালয় মিতা
বাঙালীর জন্য
সইলে কতই কষ্ট যন্ত্রণা
বার বার হলে ষড়যন্ত্রের শিকার
সন্তানের মুখ দেখে ভূলে গেলে ব্যথা।
মুত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে
দরদ ভরা কন্ঠে সেদিন
ঘোষণা তোমার
সাধারন ক্ষমা।
আবেগাপ্লুত হয়ে বললে যে, বাঙালী আমার প্রাণ
কিছু অবুঝের দল ভূল করেছিল
ভুল পথে হেটেছিল
দিয়েছিল
দেশ বিরোধী ভুল স্লোগান।
ওদের ক্ষমা করে  দিলাম,


পিতৃহৃদয় তোমার-
বরফের মত গলেছিল সেসময়
অশ্রু বন্যায় তোমার ভেসেছিল বুক।
আপন পর শত্রু ও মিত্র
সবাইকে বুকে দিলে ঠাই,
চারদিকে ধ্বনিত হল জয় হোক মুজিবের জয়।


সেদিন কি পলাশীর ইতিহাস তুমি ভুলেছিলে!
নইলে মীরজাফরী রক্ত যে জাতির ধমনিতে বয়।
তাদেরকে এত সহজেই ক্ষমা করে দিলে
ভূল করেছিলে তুমি,হিসাবে ভূল ছিল নিশ্চয়।


ভাবেনি নবাব,
তুমিও কি ভূল করে ভেবেছিলে কোনদিন
বাঙালী এমনি করে শোধ দিবে তোমাদের ঋণ।
ক্ষমার অযোগ্য তবু জানি তোমার স্বর্গীয় আত্মা
দূর হতে বলছে ওরে অবুঝ বাঙালী
কলংক যা হবার তা হয়েই তো গেছে
সুখে থাকিস বাঙালী, ভাল থাকিস বাঙালী তোরা।


কবিতাটি কবি কর্তৃক সংরক্ষিত।
অক্ষরবৃত্ত (মুক্তক)