শুরু হল বৃষ্টির কি যে দাপাদাপি,


বলি তোকে দুষ্টু তুই আয় চুপিচুপি।


ঐ ঘরে শুয়ে আছে আমার খোকন,


দুই-তিন জ্বর তার রোগের কারণ,


বহুদিন পরে সে যে জুড়ে  দু নয়ন,


আওয়াজ তাই করিস নাকো করছি বারন।


সারাদিন চেয়ে থাকে আসে না যে ঘুম,


দিনে দিনে হয়ে চলেছে নিস্তব্ধ , নিঝুম।


কত কথা মনের সে আমাকে বলতে যে চায়,


চেষ্টা করেও খোকা কিন্তু মুখ বেঁকে যায়,


বিছানায় পড়ে আছে আজ তিন মাস,


স্পন্দন বুকে আছে খুব আস্তে নি:শ্বাস ,


মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখছি রোজ তাকে,


কত কিছু সইতে হয় এ জীবনে সন্তানের মাকে।


ডাকি যদি খোকা বলে পলক নাহি পড়ে ,


চোখের কোনে তে শুধু অশ্রু জলে ভরে,


কতদিন পরে আজ ঘুম এল তার চোখে,


কত সুখ পেলাম যে আজ তাকে দেখে।


মুখখানি এক টুকরো চাঁদের কণা,


অনেকক্ষণ হল খোকন চোখ খোল সোনা!


খোকন সোনা আমার একবার দেনা সাড়া ,


ডেকে ডেকে মা তোর এইবার পরবে যে মারা,


একি! খোকনের সারা দেহ  ঠান্ডা-শিতল,


শরীরে যে নাই প্রাণ অসাড় -অচল।


হায় ! তবে কি আমার খোকন উঠবে না ডাকে,


ঘুমের বাহানা তে বুঝি ছেড়ে গেল মা কে।