আজও মনে পড়ে নবীনের সে ই সর্বনাশা হাঁসি . শুনে ছিলাম অনেক দিন ধরেই , অসুস্থ হয়ে সে বিছানায় আছে পোড়ে। কাজের ফাঁকে একদিন গেলাম দেখতে তার পুরনো বাড়ীতে ,ঢুকতেই দরজায় ছিলএকটি লেখা "সোজা চলে যান দোতলায়, "দরজার প্রায় কলকব্জা ভেঙে গেছে , তাই বন্ধ হোলো না আমার জোড়েতে। গুটি পায়ে হেটে সিঁড়ি দিয়ে সোজা দোতলায় উঠতেই সামনেই তার ঘর, আস্তে আস্তে ভেতরে ঢুকেই দেখি কাঠের পালোঙ্কে সে শয্যাশায়ি, আমাকে দেখে একটু অবাক হয়েই বলল ' এসেছিস আমাকে দেখতে এখনও বেঁচে আছি নাকি গেছি মোরে?' খুবই লজ্জার সাথে বললাম' সময় পাইনি বন্ধু তাই ,দেখি তো তুই যাস কি করে আমায় ছেড়ে! হঠাৎ বীকট হাঁসি তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো কানফাটা সেই হাঁসি , তাকে থামাতে চাইলেও থামলো না ,হাঁসতে-হাঁসতে নিস্তেজ হয়ে বিছানায় আবার শুয়ে পোড়লো ,চোখ দুটি বন্ধ করল, চোখের পাস দিয়ে জল গড়িয়ে নামছে , ডাকছি ' কি হল? নবীন চোখ দুটি খোল , আমায় আরও কিছু বল! শত ধাক্কায় চোখ তার আর খুললো না , হাঁসতে-হাঁসতে আর কিছু কথাও বললো না। শেষ হাঁসি দিয়েই সে নিল যে বিদায় । , এত দিন হয়ত ছিল তার অপেক্ষায়, হাঁসি ছিল চিরদিনই তার জীবনী শক্তি, সেই হাঁসি দিয়ে গেল জীবন থেকে মুক্তি। চোখের সামনে আজও ভেসে বেড়ায় তার তার সেই স্মৃতি , শেষ দিনের সেই তার সর্বনাশা হাঁসি।