অধ্যায় চারঃ
-----------------
অালোর সঙ্গমে তৃষ্ণার মিথ
মৃত্যুও প্রেম চায়...


নিজেকে পরিভ্রমণ করে পেয়েছি তোমাকে,
অস্তিত্বের শেষ রেখায় মাতৃজঠরের চেয়েও বিদগ্ধ অন্ধকার...


অধ্যায় পাঁচঃ
------------------
অায়না ভেঙে বেরিয়ে এলো দুগ্ধ-নদী
                     ওপারে বসে দিলে চুমু,
এপারে গুনে গেলাম ভাঙা কাঁচ...


অশ্রু-স্রোতে রক্ত গেলে
                    গা মুছে নিও!


অধ্যায় ছয়ঃ
------------------


এক খণ্ড মেঘে
      অাধেক জীবনের চিৎকার!
বাকিটা বৃষ্টির ইতিহাস,
        অথচ এখনো তুমি মরুভূমির গল্প।


অধ্যায় সাতঃ
-----------------
ভালোবাসায় গর্ত ছিলো বড্ড বেশি
ঢুকেছি কখন বুঝিনি তা দিবা-নিশি,
ভুল করে উপরে উঠতে চাই যত
তলিয়ে যাই অারো,পায়েতে ক্ষত,
টেনে তুলবে অামায় কে?
অাজো দেখেনি যে সে!


অধ্যায় অাটঃ
-----------------
চোখে নষ্ট অতীতের পাপ নিয়ে একটুখানি ভুলের কাছে রোজ প্রত্যাখ্যাত হচ্ছি অাশ্চর্য এক সমীকরণের অপূর্ণতায়...


কোন চিৎকার নয়,অনাগত উত্তরের বায়নায়
সোজাসুজি বুক পেতে টের পাচ্ছি ঝড়ো বাতাস


এখন অামি চলমান এক পাথর
মানুষের বিশালতায় শিশির-বিন্দুর কাছে এলাম
অাজব সুখে ভিজতে গিয়ে দেখি
অন্তরালে বোবা অাগুন।


অনিবার্য পতন-সংবাদে বলে উঠলাম
অাগামীর সময় তুমি অশ্রু হয়ে ঝরো!
অামি শিখে নিব নীরব স্নান
কেবল বলে দিও--
কতখানি ভেসে গেলে নিজেকে পার করা যায়?


অধ্যায় নয়ঃ
---------------


বিশ্বাস করো!
           মৃত্যুর সময় এসে গেছে অামার,
এ পতন-সংবাদে
      পাড়ায় পাড়ায় হবে না কোন চিৎকার- চেঁচামেচি,
কাল করপুটে তুফানি অাঁধার কেবল গ্রাস করে নিবে চিরন্তনী শ্বাস।


গাঢ় সবুজ ঘাসে নরম বৃষ্টিপাত হতে পারে কবরের ঐশ্চর্য্য ঘাম,
বিন্দু বিন্দু ছন্দে প্রিয় সমাপ্তি।


ঘুমের নিশ্চিন্ত অাহার;
বস্তুজগতের বেদনা হতে পুনরায়
                                অামার খণ্ডাংশের বিকাশ।


মর্ত্যের ক্ষুদ্রতা ঢেকে  দিতে কেউ এসো সমুদ্র সঙ্গমে,
নতুবা পর্বতের প্রতিভায় অাকাশ-রামধনুর সাক্ষাতে
পাখিদের ডানায়  শুনতে যেও অরণ্যের ধ্বনি
নিশ্চিত দেখতে পাবে অামার  এক অলৌকিক ভাস্কর্য...


অধ্যায় দশঃ
----------------------
এ অামার নিষিদ্ধ ডায়রী...
শেষ পৃষ্ঠা হতে বলে যাচ্ছি----


শামুকের জ্ঞানে সমুদ্র গভীরতা মাপতে গেলে
অন্ধ চোখে দৃষ্টির জন্ম হবে  নিষেধ!