উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।


পরিচয়
--------------
আমি ইথার,কবি নই,তবে আজন্মকালের শিল্পী।
আমার চেহারা ঠিক নরম দেশলাইয়ের মতো,
যার মাঝে লুকিয়ে থাকে জ্বালিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা।


ধোঁয়াশা
---------------------
চিতার আগুনের শেষ ধোঁয়াটির পিছনে,
            মিলিয়ে যেতে দেখেছি
                      জীবনের অন্তিম বিন্দুটিকে।


তারপর অনুভবে পেয়েছি
                       অশান্ত এক বাতাস,
তারি মাঝে ঘুরপাক খায়
                       নক্ষত্রের মত জীবন।


তবে কি জীবন কুন্ডুলীময়!
            নাকি পুনরায় ফিরে আসার অভিলাষ,
                      নাকি ঘড়ির কাঁটার পিছনে অসমাপ্ত দৌড়......

অসুখ
------
চৌকোণা ঘরে----
     নারী সার্কাসের জন্তু
               পুরুষ যেন দর্শক।


বালিয়াড়ির প্রান্তরে দায়হীন সস্তা মৃত্যু
      হাঁপায় পোয়াতি কুকুর,
                ঝরে অজস্র মেঘফুল,
                           উছলায় যমুনার জল।


আবার সুরুজ নগরে আসে
আদিকালের পুরানো বাতাস,
যারি মাঝে আত্মবিকার জনতার আনাগোনা।


এদিকে লালসার চেরাকোটা পথে
বিষকাঁটানির ফাঁদ,
শিউরে ওঠে আনকোরা মুখ।
কেশদামে লাগে জটের পাক
নাচন ধরে কবজিতে-----
কাঁপে খাড়া পাঁচটি আঙ্গুল,
লাউ ডগার মত নেতিয়ে পড়ে শব্দরাজি।


অতঃপর, বর্গাচাষীর ধানকন্যা করুণায়
শীতল চুমু দিয়ে যায়
আমার দেহের অশান্ত ভাঁজে।


ক্ষুধা
--------------
জন্মের সিংহদ্বারে,
আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠেছে
অসংখ্য ক্ষুধার্ত আত্মা!


------চিৎকার করো যদি,
তবে নিজেই হবে প্রথম শ্রোতা!
বাকিসব বধির;কানে ঢুকেছে পোকা।


ধূসর মাটিতে এক পা রেখে,
অন্য পা -শূন্যে তুললেই দেখবে,
পালিয়ে যাচ্ছে কামনার বাতাস।


কেবল নিঃশ্বাস নিতে গেলেই,
শুনতে পাবে-
পাতাহীন উলঙ্গ বৃক্ষের ভয়ংকর আর্তনাদ!


যাও, ঝড়ের পাখির মত দুলতে দুলতে-
উড়ে চলে যাও
স্ব -জাতির কাছে;
কান্নার দাম মিটিয়ে দাও
এক মুঠো ভাতের বদলে......

এবার আমি যাই
-------------------
একটি আলোকিত জন্মের জন্য
বহুবার মরতে গিয়ে,
পিচ্ছিল পথে ফসকে গেছে পা,
হাতের তালুতে কুন্ডুলী পাকিয়েছে সময়।


এখন আঁধারের পথে বায়না ধরেছে শীতল চোখ,
সূর্যের বিশ্লেষণী রূপ দেখবে বলে---


তাই চুকিয়ে দিলাম
আধেক জীবনের রাজ্যপাট।
এবার আমি যাই-----