উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।


অামার ইচ্ছেরা লুকায়
      অসমাপ্ত গল্পের ভেতর.......
প্রশ্নাতীত অসীমত্বে
           দিশেহারা অবিনাশী সত্তা
কপালে চিন্তার-ভাঁজ
           অন্তহীন শূন্যতায়
জাগতিক বাস্তবতায়
              হামাগুড়ি খায় ইন্দ্রিয় উপলব্ধি।


নাভিশ্বাসে ছুটে প্রাপ্তির অাকাঙ্খা
                প্রজন্ম হতে প্রজন্মান্তর........


মাঝরাতে নষ্টের চোরাবালিতে পড়ে
           একান্ত অনুভবে বিলীন হবার অাগেই
অামার ছায়াসঙ্গী
               সুতীব্র চিৎকারে জেগে ওঠে
দেখে নেয় ফুলের-বিন্যাস।


     গর্জনশীল নদীর ভেতর শুরু হয়
                    নতুন জীবনের উদ্বোধন
    যার ব্যপ্তি সাত-অাসমান;মৃত্যু সরে পড়ে লজ্জায়........


কে?কে?কে?
    অামার প্রতিচ্ছায়া!
সে ছিল নিকটে কিন্তু অাজ সে দূর.....অতিদূর......
লোকাতীত,দৃশ্যের অাড়াল,
                   অাত্ম-পরিচয়হীন বলা যেতে পারে.......


শিরায় শিরায় তাঁর প্রাণরূপ-রহস্য-বায়ু,
                              রক্তে রক্তে অমৃতের স্পন্দন,
কাল-ক্রিয়া-পরাবাস্তব-অতিবাস্তব
              ইন্দ্রনীল ধারায় সমান্তরাল......


বিভাজিত সময়ে বেখাপ্পা ভাবনারা নিরুত্তর
                           সংশয়!সংশয়!
না চাইতেই স্বর্ণালী ভাগ্যলিপি,
                    কামরূপী নকসা,অনুপম-বিন্যাস।
মস্তিষ্কে পাকচক্র দীর্ঘকাল.........
            শক্তির গতি-স্থিতি ও তাঁর ব্যপ্তি
জেনে,অালোর মাঝে কালোর যুদ্ধ
                    চিরকাল.........


দিবসের প্রদর্শনী শেষে,
         সম্ভোগের মশাল জ্বলে রাত্রির পাহারায়
প্রতিটি শব্দও যেন নাড়ীর এক একটি স্পন্দন,
                    যা বিদীর্ণ করে পাথর
অাছড়ে পড়ে সমুদ্র পোড়ানো ঢেউ
                গড়ে ওঠে জলজ-ভাস্কর্য,
যাকে তছনছ করে দেয় পৃথিবীর দরিদ্রতম হাত!


নক্ষত্রেও গভীর রহস্য,
         চুম্বকীয় অাকর্ষণ টেনে অানে বিলুপ্তির পাশে,
জন্মায় নগ্নবীজী উদ্ভিদ,
        বাসা বাঁধে পলাতক পাখি.....
অর্কিড ফুলেরাও চায় নিরাপত্তা,
     একী! সাইঁ সাইঁ উড়ে চলে বোমারু বিমান;
মাটি মুহূর্তেই লাল।পাইন,শিরিষ,দেবদারু,নুয়ে পড়ে লজ্জায়....
দ্রাক্ষাকুঞ্জে হাঁটু গেড়ে বসে থাকে
               অসংখ্য শরনার্থী,কেঁপে ওঠে জরাগ্রস্ত হাত,
মানুষের অসম্পূর্ণতা দেখে মুচকি হাসে সময়.....


শেষবেলায় মৃত্যুর কিনারে সমাহিত হয় ভবিষ্যৎ
তখন টুকরো-টুকরো স্মৃতিরা বলে দেয়
      অামরা অতিথি মহাকালের..............


ছায়াসঙ্গী!
কি দেখছো?
অাশ্চর্য হয়ো না!পৃথিবী মুখ ফিরিয়ে নিবে........
বরফের স্তূপে ঢাকা পড়ে অাছে স্বপ্নের মুখ
সম্ভাবনাময় পথে শূন্যতার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে
শবের-পাহাড় ভেঙে ভেঙে
      দুর্গন্ধে মথিত
                 ঘামসিক্ত -হাত চোখের নীচে লিখে দিয়েছে
দুঃখের ঠিকানা.......


কি চাও?
পৃথিবীর মানচিত্র নাকি মানুষের কীর্তিস্তম্ভ?
জানো কি?
বস্তুপুঞ্জের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়া জীবিত সত্তারা জেনে নেয়
নিখাদ ভালোবাসাই সারাজীবনের মজুরি.........


অামার এক অাকাশ দূরত্ব কমে গিয়ে
                   অজান্তেই বয়স যায় বেড়ে
সময় টেনে অানে হারানো অনুভূতি........
            পাথর চাপায় পড়ে থাকা মাটির দুঃখও
মুছে যায় হাজার রাতের ব্যবধানে।


ছায়াসঙ্গী!
অামি তো মহাকালের ভিক্ষুক....
থালা নিয়ে দাঁড়িয়ে অাছি
           যার চাওয়া বেশি কিছু নয়...
একটু-অাধটু ভালোবাসা......


                 অাকাশচুম্বী পর্বতের সামনে নিজেকে খাটো করে
পরিত্যক্ত পাখর-খন্ডে লুকিয়েছি রক্ত-লাল ইতিহাস।
খোয়াবী রাতের বৃষ্টিরা ভিজিয়ে দিয়েছে তোমার এলানো চুল
মাঝে মাঝে জেগে ওঠেছে ভেজা উঠোনের কোমল-ঘাস।


অাসলে তুমি কি শোভাময়ী নাকি সর্বহারা?
অাগুনের লেলিহান শিখা;ওষ্ঠ ছুঁয়ে যায়.......
           বুকের বসন হতে নগ্নতার ছাই
ওড়ে গিয়ে জমা হয় জঙ্ঘাদেশে..........


রতিদাতা পলাতক,
          জন্মসূত্রে মহা-গন্ডগোল...
কিংশুক-পাপড়ির নীচে বীর্যক্ষয়!
          বিবর্ণ ঘাসের ঘরে শিশির পায়নি এতটুকু অাশ্রয়....


বিশ্রাম-দিবস।কলম-বন্ধ।লেখার বাতিক।
বাতিলের খাতায় বস্তাভরা শব্দেরা
                ফিরে এসো,ফিরে এসো........


     হাসতে হাসতে,লাফাতে লাফাতে
ছায়াজন্মের পিছনে এনে দাও সৌরলোকের অাকর্ষণ!


মুহূর্তেই অাছড়ে পড়ব এক মৃত জনপদের ওপর...
       খুবলে খাব জঙ্ঘা-ওষ্ঠ-নাভি-অারও.....


একী!অামার শোকহীন পাথর ফেটে কেন অশ্রুপাত?
          নাভীমূলে জরা,
বিশ্বমাঝে লাগামহীন পথিকের মত
                   অসমাপ্ত ভ্রমণ........


নির্ভুল সময়ে
          ক্ষমাহীন ঘূর্ণনে
                    সুরমা চোখের দৃষ্টিভ্রম।
গণনায় ভুল
         হিসেবের ফসলে ঘেরাটোপ,
লাল-রক্তমাখা শয্যায়
            মূর্তিমান ছায়াদের অবিশ্বাস্য অালিঙ্গন!


সবিতা অাজো জানে কি?
প্রতিটি বিক্ষুদ্ধ রাত তাড়া করতে করতে
              অামায় নিয়ে যায় দৃশ্যের বাইরে......


দুঃখের অনুবাদ শিখে নেয় স্বর-লিপিহারা জীবন,
        বেনামী হাসি-খেলায়
                   কচি বাঁশ-পাতায়
অর্চিষ্মান দেখে চন্দ্রাবলীর মুখ,
শেষে,তাকেই হারিয়ে যেতে হয়
              অজানা মেঘমালার ভীড়ে.......


এখনো শ্বেত-পাথরের বুকে লেগে অাছে রক্তের দাগ
      বাতাসের গলা চেপে ধরে অাদিম অাঁধার
ঢেকে দিয়েছে সমস্ত দৃশ্যপট........


তবু দখিনা কালি অামায় জিজ্ঞেস করে না
     সুগন্ধ উচ্ছ্বাসে কখন মুক্তি পেয়েছে বাগানের ফুল?