চাইনা ইথারকে কেউ অনুসরণ করুক--- এ অসম্ভব!
              যে দেখতে চায় সে ঘুমুতে পারেনা;
ফুলের কাছে নত হয় সুন্দর
                            সূর্যের পীঠে অতিরঞ্জন ;
সে ত্রিকালাতীত,দৃষ্টিতে ত্রিমার্গ-রূপ;
                            থাকে দশইন্দ্রিয়ের উপলব্ধি...।


বেশ।তবে পাশাপাশি হাঁটা যাক... হে অতিরঞ্জন!
               অসীমের কাছে মুক্ত হোক দূরত্ব-জয়ী ছায়াশরীর
বিশ্বলক্ষী তাকিয়ে থাকুক
                   দুটি জ্যোতির্ময় আলোক-তরঙ্গ ধারার
রহস্য-নীল পথে পথে...........


               জানি,পথিক ধ্রুবক অথচ সামনেই
অপেক্ষমান সংখ্যাতীত পথ...
                                অার পারাপারহীন নদী...
সর্পিল সাঁকো কোথায়? আছে হয়ত!
    আছে কি?
                  বৃষ্টিঝড়,দুর্যোগ শুরু...
মহাকালের স্রোতে ভাসমান শ্যাওলা-মাখা দেহ;
মৃত্যু পাক খায় জলের নীচে
               নৌকোটা কিন্তু জন্মের পীঠেই বাঁধা!
বুকে বিদ্যুৎমাখা বিশ্বাস...
অনন্ত পথেই চিরসঙ্গীহীন পথিক খুঁজে পায় সৌরদ্বীপ...


হে অতিরঞ্জন!
শ্বাশত-উচ্ছেদ-বাদ অমর্শিত মধ্য-বিন্দুই মুক্তি ;
দেখোনি লোকত্তর সাধনের ক্রমবিকাশ ও
                                 চিত্তোৎপত্তি জন্ম-মৃত্যুর খেলা?
অসীমের দিকেই অামাদের মুক্তির মহাযাত্রা...
উপরে সূর্যরশ্মিস্নাত মেঘমুক্ত আকাশ
অন্তর প্লাবিত করে আলোকের অনন্ত তরঙ্গ বয়ে যায়...
কি ভাবছো?
ভাবহীন-ব্যঞ্জনাহীন-জীব সংজ্ঞাভিভূত
                   অবিদ্যার মায়াজালে তুমি বন্দি...
জানো কি?
মহাশূন্যতার তিরষ্কারে
            আলো ও অন্ধকারের ব্যাপকতায় আকাশ রূপ-শূন্য।


বলতে পারো?
অন্ধকার হৃৎকুটিরের অর্গল উন্মোচন করে কে হবে আত্ম-ঘাতী?
প্রাচীন জীর্ণতা ভেদ করে আমার রহস্য-চেতনার তীর
আসক্তির ঘোরে ছুটে যায়
                দুনিয়ার তামসতম আঁধারে –রসাতল-তলে
গতি-দৃষ্টি দুদিকেই সমান দুর্নিবার!


          ঐ ঐ অন্ধকারে ঘুমুচ্ছে আলো
আলোর নীচে ধনুকাকৃতি দুর্গ
                 দৃষ্টিতে ঝুলন্ত পাথর
স্থানচ্যুত হওয়া নিষেধ!
ওমনি ছন্দব্যস্ততায় জ্ঞানের তীরনিক্ষেপ
ঝরে,শুধুই ঝরে আগ্নেয়বিন্দু!
পথে ছাই,ধোঁয়া গুমরে গুমরে পাক খায়….
মুহুর্মুহু শ্বাসাঘাত;
            সামনেই পা আকর্ষী ফাঁদ!
জেগে থাকে দুর্গ….
দিন ও রাত্রি যেন সমানে সমান….


                 অসীম চক্রাবর্তনে পুনঃপুন ঘূর্ণন
কল্পনাতীত চিত্রকলায় ধ্যানাসীন মূর্তি।
                        বোধিবৃক্ষমূলে রাত্রিযাপন,
মুহূর্তে মুহূর্তে মুক্তির আস্বাদ;
সংজ্ঞাবেদয়িতনিরোধ ধ্যানে জাতিস্মর জ্ঞান-লাভ
দুর্জ্ঞেয়,দুরনুবোধ্য,শান্ত
অথচ তর্কাতীত,তথাগত-পরীক্ষিত সত্য।


              লোকাতীত জন্ম-জন্মান্তরের শেষে
নতুন প্রান্তে ফুটে প্রাণের কুসুম
মাতৃকুক্ষির অভ্যন্তরে জ্বলমান অগ্নির সন্তাপ
শিরা-উপশিরায় দুঃখের বজ্রাঘাত
বেগবতী চঞ্চলা তরঙ্গমালাতেই ভাসে মরণানুস্মৃতি।


ছদ্মবেশীর ছায়া নাচে, মুহূর্তেই চন্দ্রগ্রাস
দৃষ্টিতে রূপ-রস-কাল-জ্ঞানহারা মস্তিষ্কজাত বাঙ্ময় চিত্রপট
                                   অপেক্ষা আর অপেক্ষা...
অাসবে নীলকান্তি ঝড়,মন্দাকিনী হবে জ্যোৎস্না-হারা
জগৎ দেখুক--------
শূন্যে ভ্রষ্ট ইথারের অতিরঞ্জন ফিরিস্তি...........