চিনতে পেরেছো ?
আমিই অতিরঞ্জন !
ভূস্পর্শবেদনায়
ছায়াশরীরের বাঁকে বাঁকে রহস্যনীল ধারা
ওষ্ঠাধর প্রান্তে ব্যথা গুঞ্জরণ,
বাহুমূলে
বন্ধনভয়।
মেঘের আঁধারে রহস্যবিদ্যুৎ খেলায়
সংজ্ঞাশূন্যপ্রায় মাতৃজ্ঞান।
শ্যাওলা ঢাকা দেয়ালে
জন্মের কান্নায় ভক্তিমতীর স্বাক্ষর,
মৃত্যু তুমি সনাতন।
নবঘনপুঞ্জিত স্তনকোরক মধুক্ষরা
তিমিরমুক্ত বিশ্বাসবজ্রে
মৃণালমৃদল আঙ্গুল
ছুঁয়ে দেয়
তেফলা জমির পৃষ্ঠদেশ।
শুষ্কতর্ক-জটিলতা-কুটিলতা- ধাতুক্ষয়-আয়ুক্ষয়
চরাচরহারা
অশোকচক্র জীবনের পীঠে ।
ঋতুসংহার
পল্লবরাগতাম্র নাভীমূলে লঘুপক্ষ বিচরণ
ত্রিলোচন স্ফুরৎপ্রবাল ।
বংশীবট্ তলায় এখনো অপেক্ষায় ......
অবিশ্রান্ত শাখাচ্যুত পক্ষীশাবক
বাঁশি কি বাজাবে মর্মবিদ্ধ রাধামাধব?
গহনমধুর সুরে তাল-বেতাল
আমার সঙ্গীতপ্রবণ চেতনা।
বন্ধু ও কবি শঙ্খ ঘোষ তোমাকেই বলছি------
চিনতে পেরেছো?
আমিই অতিরঞ্জন !
মৃত্যুকে ছুঁয়ে দিয়ে নিভিয়ে দেই চিতার আগুন
জেগে থাকে শ্মশান......