আমারই গর্ভে ঘুমিয়ে ছিলো মৃত্যু-নীল নর্তকী  
মহাকাল পেটে লাথি মারতেই
জন্মের কান্নায় সে উল্টাতে উল্টাতে
                         গড়িয়ে পড়লো গন্ধকের তলায়…
ঘটে মহাবিস্ফোরণ !
ওমনি নাচতে নাচতে জীবনের সরাইখানা থেকে
দিব্যযোনী পেরিয়ে জ্যামিতিক আয়নার মাঝে দেখিয়ে দিলো
                         আমাদের দু’জনের ভেদরেখা ও শব-ব্যবচ্ছেদ
উপায়ান্তর না দেখে আমি হাঁটতে হাঁটতে অনন্তবিন্দুর মাঝে
খুঁজে ফিরি জাতিস্মর-জ্ঞান;অমরতার-আস্বাদ ও শারীরীক বিভাজন।
হঠাৎ করতল থেকে জন্ম ছিনিয়ে ক্ষতমুখের গর্ত ঢাকতে চায় মুন্ডুহীন জ্ঞান-পাপী
মাকড়সার মত জাল বিছিয়ে আটকাতে চাই নীতিশাস্ত্রের রহস্য-লিপি
না!
                         আটকাতে আমি পারি না!
টিকটিকির লেজ খসে পড়ে,ছিঁড়ে জালের বুনন…..
              ঝরে বর্ণমালা,সংজ্ঞাহীন আত্মহনন
কাঁদে আমার বিকলাঙ্গ মকরগর্ভ
রহস্যনীল সাংকেতিক স্রোতেও….
                        নক্ষত্রের নথিপত্র নিয়ে ভাসে আর ভাসে অনন্তকালের প্রহরী
আমি শুধু চেয়ে থাকি পাড়হীন দৃষ্টিতে
একাকী….
             বড্ড একাকী.........