অাজকে তুমি হলে শ্রাবণ-সখী,
         অথচ রক্তঝরা প্রভাতে কদম-বিলাপ;
কুটিল-কৌতুকে অাত্মার বিকারে
         স্বায়ত্বশাসিত সৈকতে জ্বলছে ঐ রাবনের চিতা!
কাঁদে অন্ধ চোখের কিরণ-দুখী,
         অাসে অন্তরে-অন্তরে শ্বাপদের অভিশাপ;
তবু যুগান্তরের পদতলে নির্বিকারে
        পুনরুক্ত জন্মের ভস্মমাঝেই অাছে অামার সীতা।


ও সারদা-সুন্দরী ভেঙে ফেলো মান!
                  সুকৃতি-ভরা মমতার গৌরব ইন্ধনে
বক্ষে ফিরিয়ে অানো নৌকো-কাঙাল
                    অমৃত প্রণয়ের শূন্যরহস্য বন্ধনে।


এসো,এসো,সারদা-সুন্দরী!
            প্রত্যাখ্যান ভুলে বিদ্যুতের ভাস্কর্য তুলে
স্বাক্ষরিত সর্বনাশের বক্রতা-বিহীন সরণীর ছায়ায়....


       অার মানুষের চরণচিহ্নপাশে জায়মান অতীত ঘেঁটে
ফিরে অাসুক অাগামীর বার্তাবাহক!
--------------------------------------------------------


উৎসর্গঃদাদা মলয় রায় চৌধুরী,দাদা পটল বটব্যাল(প ট ল দা)
ও কবি হেলাল হাফিজ।


★★অামার এই কবিতাটি অামার প্রিয় তিনজন
মানুষের জন্য উৎসর্গীকৃত।হাংরী অান্দোলনের মলয়'দা,(ভারত)পিতৃতুল্য পটলদা(ভারত) ও হেলাল দাদুর(বাংলাদেশ) কাছে
অামি চিরঋণী।এই তিনজন মানুষের কাজ হতে সবসময়ই
উৎসাহ পেয়েছি কবিতার ক্ষেত্রে।