ক্লেদমাখা তামসীর দ্বারে দ্বারে ক্ষণিকের অতিথি হয়ে
               রক্তরাগিণীর অধর ছুঁয়ে রচনা করি শর্তহীন প্রেম।


নির্বাক সময়ে ফেরারী স্রোতের সাথে হেলে-দুলে
প্রগাঢ় বিশ্বাসের সৌরভী ছোঁয়ায়,
                     তাবৎ পৃথিবীর অাদিম বন্যতা ধুয়ে-মুছে
উদাসীন মেঘমালার তলে রেখে অাসি
ভাঙনের তপ্ত-শ্বাস;
ত্রুটিহীন ধনুকের বক্ষ হতে ছুটে যাওয়া
                               দুরন্ত তীরের মতোন।।


অারে!স্বপ্ন কেনো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়?
ক্ষান্ত হ, অচল পয়সার মায়ায় জড়ানো অমানুষের কৃপনতা!


অামার স্বপ্ন বিক্রি করে দিতে অাসিনি মৃত পান্ডুলিপির হাট-বাজারে....


এসেছি নির্ভেজাল অালোর ঝুলিতেই
           বাতাসের শূন্যতা মুঠোয় মুঠোয় ভরে
পাখির ভাষাতেই জেনে নিতে------
অাকাশের  উদারতা মানুষের নিখাদ ভালোবাসার কাছে
                             একটি শিশির বিন্দু বৈ অার কিছু  নয়!


সে কী!অামাকে হানতে কেনো তুই পাথর ছুঁড়েছিস ওরে ফুলের হন্তারক?
অামি অাগুন পুষেছি জন্মান্ধকাল,এখন পুষি অায়ু কালপুরুষের নামে....


জ্বালা নে             মুখে        ভুলে মন্দ-কাম


অশ্রু দে             চোখে        খুলে  বদনাম।।


অাগুন ধর           বুকে         লাল-পাথর ধুয়ে


মরবি মর্           হৃদয়ে       প্রেমশিখা ছুঁয়ে।।  


এবার উড়বে এক অাজব ঘুড়ি লাটাই-সুতো ছাড়াইতো!
থাকে যদি মনের মতো টান দেখবি তারে ইচ্ছে যতো।।


সত্য কাজেই রত্ন মিলে,মিথ্যে তুই ভুলে-ভালে রসাতল
কালো কয় না অালো ভালো;অালো তো বিবেকের বল্!


বাতায়ন পাশে দোলে বেলি ফুল,গন্ধে গন্ধে দেউলিয়া
মানুষ ছাড়া কে বুঝিবে মানুষেরই দাম?অাহ্ শুকরিয়া!


কে?হঠাৎ কে তুমি?ও নার্গিস!
              শুনো, শুনো,কানের নষ্ট পোকা তুলে....


এ জগতের ছন্দ জানে যে,কবিতার ছন্দ ভাঙে সে!


তবে কে হতে চায় কবি?
অামি হলাম ভিখারী,অাগুন তলায় প্রেম কুড়াই
                                অন্তরে অন্তর ঘঁষে.....


তারপর?


বেনামী মৃত্যুর বুকে অসংখ্য জন্ম পার হয়ে-----
ক্লেদমাখা তামসীর দ্বারে দ্বারে ক্ষণিকের অতিথি হয়ে
                রক্তরাগিণীর অধর ছুঁয়ে রচনা করি শর্তহীন প্রেম।