প্রিয় ষোড়শী,
মানুষের মন ঈশ্বরের জলবন্দী অায়না।


অামি তোমাকে নগ্ন করতে চাইনি বলেই----
নিজেই নগ্ন হয়ে দুঃখের দেশলাই জ্বেলে পুড়িয়ে দেই চাঁদের কলঙ্ক।
চুম্বন জমিতে স্পর্শের কান্না হয়ে বাঁচি ওষ্ঠের নিমন্ত্রণে,
মৃত্যুর ভেতরও তোমাকে পাঠ করি জন্মের পৃষ্ঠা গুনে গুনে......


প্রিয় ষোড়শী,
মানুষের মন ঈশ্বরের পাণ্ডুলিপি।


অামি তোমাকে কবিতার ক্ষতচিহ্নে রাখিনি বলেই----
মধ্যরাতে প্রদীপের অাহত শিখায় রমণীয় পূর্ণতা ছুঁয়ে
অামার কবিত্বের ভিখিরি ডাল কেটে কেটে পূর্ণ করি হাজার প্রেম কাঠুরির অগ্নিক্ষুধা।


সর্বশেষে,সর্বজ্ঞানে,মানুষের মন মানুষেরই শান্তিনিকেতন।


অামি তোমার ভেতর অামিকে অামার বাইরে অচেনা রেখে
অালোর যন্ত্রণায় প্রবেশ করি প্রেমকে ঈশ্বরের কৃতদাস বানিয়ে।


কেবল ভালোবাসি,কেবল ভালোবাসি তোমার ফুলের অন্তর;
যদি স্বীকার করো তুমি,
        অামার রক্তের শেষ বিন্দুতে পাপড়িকে করেছি লাল;
তবে সুরভি হোক দু'ফোঁটা অশ্রুর প্রণম্য!
                                                ইতি,
                                     তোমার ইথার।


প্রেরক,                                   প্রাপক,
      
ইথার,                                     ষোড়শী,
তরঙ্গ-গ্রাম,                              চুম্বন-গ্রাম,
বিশ্বের মানচিত্র হতে                শান্তিনিকেতন।