১৫০
--------------
১=ঈশ্বর
৫=অাত্মা
০=দুনিয়া


★অাজব দৃশ্যপট(০১)


মশারী
------------
ব্যবসায়িক যুগে হৃদয়কে বানিয়েছি মশারী
যাতে প্রেম পালাতে না পারে!



★অাজব দৃশ্যপট(০২)


মশা
----------
সিগারেটের ধোঁয়ায়
                তখনো পাক খাচ্ছে ধর্ষিতা রমণীর স্তন।
বাতাসে সর্পবিষ,
পর্দার বাঁকে মনসা দেবীর অভিশাপ শুনে,
ধর্ষকের বুকের রক্ত পান করতে এসে
কটু গন্ধ পেয়ে---
                ভীষণ লজ্জা ও ঘৃণায়
মুখ ঢেকে নিলো একটি মশা!



★অাজব দৃশ্যপট(০৩)


মাছি
----------
জীবনের বাটিতে ছিলো এক চুমুক দুগ্ধবতী জল,
জ্ঞানের অহংকার আসতেই
ডাস্টবিনের মাছি এসে নীরবে শুষে নিলো সব......



★অাজব দৃশ্যপট(০৪)


সুঁই
--------------
সুঁইেয়ের সাথে জ্ঞানপাপীর সংঘাত নেই!
সুঁই ও জ্ঞানপাপী মগজের তীক্ষ্ণতায় খোঁচাতে পারে ঠিকই,
কিন্তু দু'টোর পেছনেই ছিদ্রদেশ!



★অাজব দৃশ্যপট(০৫)


সুতো
------------
মনুষ্য জীবন একটি সুতো ছাড়া আর কিছু নয়
ছিঁড়ে গেলেই জোড়া লাগানো দায়!


★অাজব দৃশ্যপট(০৬)


বালিশ
-------------
                   অশ্রুর দাগ সইতে না পেরে,
মিথুনরত বিছানায়,
মগজকে সম্মানিত করে দাঁড়িয়ে ছিলো
                                     যে ক্লান্ত প্রতিভার ঘর;
তাকে আগামীর ঝড়ের মুখে টিকিয়ে রাখার জন্যেই---
একটি সস্তা বালিশ,
                 সোনার পালঙ্কের কাছে
নিজের আয়তনকে তুচ্ছ রেখে,
শুকনো কাভারের তলে
                   গভীর নিশীথে
গর্ভের পুঞ্জিভূত  তুলোরাশির মায়ায়
                   মাথার ভার বহন করে গেলো, নিশ্চিন্তে .....


একটি সস্তা বালিশ,
                  সোনার পালঙ্কের কাছে
নিজেকে স্থবির রেখে ধৈর্য্যের মাহাত্ম্যে;
মগজের অমৃত-স্নায়ুকে
                         আগামী ভোরের সূর্যের কাছে
মহান করে তুলতেই,
দৃষ্টি-পোড়া দু'টি চোখকে
পরম আবেশে বুক পেতে ঘুমের আশ্রয় করে দিয়ে গেলো
                                                     আদরে আদরে .....