পর্ব একঃ
-----------


অজানার উৎসমূলে নীরবে বসে আছেন  ত্রিপুরান্তক
নাড়ীব্যঞ্জিত অনাহুত চক্রেই দাঁড়াও হে শিব-বাচক।


আদিত্যরূপ ফাল্গুনী হাওয়ায় ভাসে শ্রোতব্য-জ্ঞান
বচনামৃত অজ্ঞাত-তত্ত্ব কীর্তনেই শিব-প্রীতি ধ্যান।


ত্রিমার্গপীঠে সুধাময়ী রূপে অাছে কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন
সুব্রত মায়ায় সূর্য্য-সাযুজ্যে পাপকঞ্চুক উন্মোচণ।।


অসূয়া-বর্জিত বিবেক হলো শুদ্ধ জ্ঞানের পুরষ্কার
জীবন তুমি হবে কি অংশুমালী?জানাবো নমস্কার!


হে বিভু পরমদেব!দণ্ডধারী!
            সাক্ষাত দাও এ দণ্ডিতের-ই বক্ষে;
আমার আত্মমনেই তো তুমি ব্রক্ষ্মা,বিষ্ণু,মহেশ্বর;
            যেন ছুটে-ছুটে যাই মুক্তির লক্ষ্যে ।


লীলাবশে চৈতন্যরূপী মহাদেব
            করো তুমি নানা-রঙে বিরাজ!
শিব-বেদবাক্যে কাম-মোক্ষলাভ;
            অাজ ঘুচে শুক্রক্ষয়ের লাজ।


কোথায় আমার আনন্দরূপা গৌরী?
            নিত্য প্রাতেই সাজাবো অালোর মেলা
ইন্দ্রজ্যোতি বিশ্বকারণ;গিরিন্দ্রনন্দিনী শিবায়
            দেখবে প্রভাতে,আমার-ই সঙ্গম খেলা।


পর্ব দুইঃ
------------


রজোগুণ,তমোগুণে মিশে গেলে পর,জগত কাঁদে চক্ষু-লাজে
কী উপায়?কে যাবে নিখিল বিশ্বে লোককল্যাণ-পুণ্য কাজে?


পশুত্ব অার দেবত্বের ফারাক-জ্ঞানে বুঝে নাও রে মাতৃচরণ
বীর্যজীবী প্রাণ খুলে অাসুরিক-সংহারে করো তাঁরেই স্মরণ।


ঐকান্তিক শরণাগতি;মুক্তির প্রসারেই ঘটে অশুভের বিনাশ
পাপের বেদীতে ঢালো পুণ্য-রস,অামরাই হব সত্যের দাস।


শরতে ভাসে সাদা-মেঘের নৌকো;হাওয়ায় জাগরণী স্রোত
হে শিবপত্নী!এসো গো অসুর বধে,তুমি এ ধরার শান্তিদূত।


জাতির নষ্ট কালে রক্তের অপচয়ে মানুষে-মানুষে হানাহানি
দুঃসময়ে এসো গো অানন্দময়ী!প্রণাম!তুমি দশপ্রহরধারিণী...