মৃণালিনী,অামার প্রাণের সই,ও সই রে!


রূপের বাহারী শিল্পচ্ছটায় কিংবা উড়ো উড়ো চঞ্চলতায় খুঁজেছি ছন্দের অন্ত্যমিল;
কেননা ঠোঁটের কোণে আলতো শিহরণে ছিলো আমার উপমার অন্তিম আশ্রয়!


একান্তে যত ব্যথা পেয়েছি ও প্রাণের সই!
                         নিঃশেষে তা ঢেলে দিও তুমি...
নীরবে-নীরবে এঁকে নিও
                         অামারি নাম না গুণা পা'য়ের চিহ্ন!


হাতের মুঠিতে অাগলে রেখো এক-বুক নিস্পন্দ অন্ধকার!


অন্তত একবার...


একবার অাধেকখানি ভালোবেসে মুছে দিয়ে যেও অামারি ক্লান্ত চোখের শেষ অশ্রুবিন্দু...


অাহা!সময় ভুলে অঙ্গীকার!


সিন্ধুতীরে বৈরী হাওয়ায় সঙ্গীহীন বেদনায় নৈঃশব্দ্যের শিলা খসে নির্ঘুম প্রতীক্ষায়...


আগুনের লেলিহান শিখাও ওষ্ঠ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়,
বুকের বসন থেকে
                নগ্নতার ছাই
                               উড়ে গিয়ে জমা হয় জঙ্ঘাদেশে!


মৃণালিনী,অামার প্রাণের সই,ও সই রে!


স্বপ্নের তাপে নিঃশ্বাস ফেলে নিহত অশ্রুকে
                              মহিমান্বিত করেছি দৃশ্যের অায়নায়।


তবু নিজের ভগ্নাংশরে দাঁড় করিয়ে দিলাম বুক পাথরে;
দেখি পিছনে রেখে গেছো অামার পৃথিবী
                                     সুপ্ত ছায়ার অাড়ালে...


হঠাৎ পা ফসকে চিহ্নরেখায় ঝাপটে ধরলাম প্রেম!


অতঃপর...


কে কাকে ভালোবেসে পরস্পরকে অতিক্রম করে গেলো?