নালন্দার ভগ্নস্তূপে


নালন্দার ভগ্নস্তূপে
ইতিহাস কথা বলে প্রত্যহ প্রত্যূষে ;
অতীতের মর্মবাণী
হৃদয়ে কী অনুভূতি দিলো আজ আনি ।
অধ্যয়ন গৃহে যেতে প্রতিদিন
বুদ্ধের স্তব ,ধ্যান অমলিন ।
এরাই ত ছাত্র ছিল বটে
ভেসে ওঠে অন্তর্ধাণ পটে
শিক্ষার কী অসীম আগ্রহ
সুদূর সিংহল চীন বুদ্ধের বিগ্রহ
হতে নানা শাস্ত্রেতে পন্ডিত ;
কালের কবল হতে এখন ও যে গৃহের ভিত
আমাদর মুগ্ধো করে ছড়ায় সৌরভ
তাহাতেই বুঝে নিই
সুমহান ভারতের অতীত গৌরব ।
এ বিশাল কীর্তি
বিভিন্ন রাজাদের অমলিন স্মৃতি ।
একা একা সূর্যের আহ্নিক গতি দেখি বসে
বিষাদ মলিন লাগে বিহারের পৌষে ।
দূরে এক বৌদ্ধ দেখি মুন্ডিত মস্তক
মস্তিস্ক বিকৃত বলে দেয় পর্যটক
সামান্য যা অর্থ কিছু যে যাহাই পারে
তাই নিয়েই যায় বলে সে অনুচ্চ চীৎকারে
নালন্দার ইতিহাসটাই প্রসঙ্গ তার পেলে ।
আমার হৃদয়পাখী দুটি ডানা মেলে
চলে যায় অতীতের উজ্বল প্রভাতে
দশ হাজার ছাত্ররা মিলে একসাথে
পাঠ করে শুনি আমি
বুদ্ধানাং শরণাং গচ্ছামি ।


রচনা : December 1971