তোমার ‘না’গুলো ‘হ্যাঁ’ করার একটা ডিভাইস আবিষ্কার করেছে,
যারা কোনদিন তোমার নামও শোনেনি, যারা কোনদিন চকোরিয়ার
গর্জন গাছের রূপবান তেজস্বী দাঁড়ানোকে স্বপ্নের ভিতরে যাত্রা মনে
করেনি, তারা অহরহ তোমার ‘না’-কে ‘হ্যাঁ’ করে বাজার মাত করছে।


আমাদের যখন দূরে দাঁড়ানোর সময়, যখন উড়ন্ত বিমানের ডিম্বাকৃতি
জানালার ফাঁক গলে সাদা রোদ ঝলক মারে, বুঝি তুমি সেখানে আছো,
আমাদের দিন শেষ হয়েছে, একদিন এক অজানা গ্রামের প্রত্যন্ত পথে,
বাঁশ ঝাড়ের ভিতর অফুরন্ত বৈশাখী হাওয়া আর আলো পাতায় পাতায়—


এই দূর, এই শেষ হওয়া, যাত্রা ফুরোনোর বেলায় মেঘমালার চুপচাপ ভাব,
যে কোনদিন আসেনি, যে কোনদিন আসবে না, ভিতর থেকে যার জন্য
অপেক্ষার কী হয় না হয়, সে হিসেবের জন্য মন যখন আঁকুপাঁকু, তখন
বিমানবালার একটু ছোটখাটো সেবা, একটু উজ্জ্বল হাসি, বলে যেন, তুমি আছো।


আমাদের পথে পথে অনেক ছোটখাটো জটলা, অনেক অমীমাংসীত কথাবার্তা,
তার সব শেষ হয়ে যেন তুমি আছো, অভ্রান্তভাবে তুমি আছো, মিশে যেতে যেতে।
=শেষ=