‘সুরৎ মাঝিরে,
কাদেরকে আইজ খেয়া পার কইরল্যা?’
‘হে তো, হুজুর, চিইনতে পাইরলাম না, ঠিক মতো।
আমার জোয়ান পোলার লাহান বয়স,
ঢাকা শহুর থাইক্যা আইছে মনে হয়,
মরডান গেঞ্জি, জিনসের প্যান্ট, হাতের কব্জীতে ইয়া বড় ঘড়ি।
দুইজন আবার আমাগো গেরামের পোলার মতো টুপি পরা, আর মুখে দাড়ি।’
‘কয়জন ছিল মনে লয়?’
‘তা হবে, মোট সাতজন।
একজন পয়সা দিতে দাঁড়াইছে, বাকিগুলান নদীর পাড় ধইরা উইঠা বেবাক ফাঁক—
কোনদিক দিয়ে যে গ্যালো আন্দাজই পাইলাম না।
পিঠের ওপর বড় বড় স্কুল ব্যাগ, যেন নেহাপড়া করতে আইছে,
বহুত সিরিয়াস।
তয় ঐ মসজিদের উঁচু মিনার দেইখ্যা একজনে আরেকজনেরে কয়,
কী কয়, ইংরেজিতে বুঝি না।’
‘ওরাইতো মসজিদের জামাতে বোমা মারতে গেছিলো।’
সুরৎ মাঝি কয়, ‘হায় আল্লাহ্, টের পাইনাইতো!’


=শেষ=


১৬ জুলাই ২০১৬