লু হাওয়া বইছে,
আর্দ্রতার তীব্রতায় মসৃণতায় ধরে ফাটল,
চঞ্চল চাহনিতে সারমেয় তার জিভটুকু; টপাটপ লালা
রৌদ্র অপ্সরীকার শকট; বয়ে চলে পূর্ণতায়।
তাল কেটে যায়, তবু থাম্বে না,
একরাশ রৌদ্রতার জৌলুসে, চোখ মেলে হাসবে,
সে হাসির শব্দে কেঁপে উঠবে সদরঘাট,
মধ্যাহ্নের ফেরীতে, বাড়ি ফিরি।
ইতিকোঠার পরিহাস, শেকলের ঝনঝনানি,
মক্ষীরাণির পান্ডবতায়, সব মিথ্যে বর্তায়।
রৌদ্র অপ্সরীকার শকট,
এসে থামবে সোজন বাদিয়ার ঘাটে, এক অলস ঝিমুনিতে
ঝিলিমিলি তাতে অদ্ভূত আওয়াজ,
ঢেউয়ের সমর্পণে, হারাবে গোপণে,
আবার শোনা হবে স্বপনে।
কাদায় গড়া এক প্রাসাদের, ঝর ঝর আগুন
ফুল্কির ঘ্রাণ নিতে উড়ে দিবাপেঁচা, অবাক কথা!
রৌদ্র অপ্সরীকার শকট, শক্তিমান পথচারি,
আমার বন্ধতার বন্ধক দিলাম তুলে।
অনুলিপণের ঝংকারে, খণ্ডবিখণ্ড ঝলমল করে,
মায়াবতির কাননে বসে,
বকুল তুলে তুলে, আগুনের মালা গাঁথে।
অরে চাষাভুষা বাঙাল, কান পাত সব কাঙাল,
হাত জোড় কর, চিৎকার দাও বিকট,
রৌদ্র অপ্সরীকার শকট,
হাড় জ্বলা ব্যথা,দাঁড়াইয়াছে নিকট।।