নতুন একটা গান লেখব বলে,
সমস্ত জোছনার রূপালী আলোকে,
জ্বলন্ত সিগারেটের ধুমকি ছুঁড়ে , ধার করে আনা ভূলোকে;
যার অনেকখানি আধখাওয়া রাতে ব্যপ্তি,
সুনসান নীরবতায় তারকায় গুনি প্রাপ্তি।


হালকা করে কলে বাজা নীরব সুর,
মোহনীয় ধাঁধায় বারংবার চুরি করে স্নিগ্ধতা,
দূরের মধুমতির কালো পানির ঘোলা জল,
দিনের শেষের দেনা পাওনার প্রাপ্তিতে সচ্ছল।


গড়াই মধুমতী যেখানটায় মিলে,
অলস স্রোতে যখন গেঁথে যাওয়া আঙুল,
অল্প সিক্ততায় খুঁজে পায় পুরনো পরিচয়
কেন যেন কষ্টি ঘষে, সেটাই সোনাঝরা প্রাপ্তি।


অলস ভরদুপুরে যখন বেঞ্চিটা ঝিমোয়,
তখন অদেখা দিগন্তে ক্লান্ত মেঘরুদ্দোর,
এক অস্পষ্ট চিতকারে ঘনীভূত করে,
বুঝে নিবে সেদিন ঠিকই, সকল প্রাপ্তি
যা কিছু আমার , কেড়ে নেব থরে বিথরে।


সাঝের মায়াকাননে, সোজন বেদের ঘাটে
যথাপি সময় হিংস্র হানা দেয়,
তখন অর্কেস্ট্রায় মাতাল নাচ দেওয়া পিশাচ,
চাদরে ঢেকে সর্বাঙ্গ, সর্ব করে সাঙ্গ।


সেই বহুকাল আগের ধুলো উড়া গোধুলিতে,
বঙ্গ বিহার উড়িষ্যা, চাষাভুষা, জেলে কিংবা
সেই টানবাজারের দু’টাকার বেশ্যা;
উঁচুনিচু বা সমান সমান, মানী অপমানীর
অব্যক্ত পুরনো হলদে খসে পরা দস্তাবেজ
সব আজ পালা করে; এলোমেলো দাগ টানে ।


একের পর এক, দূর অজানায় বিলীন,
অদ্ভুতুড়ে ভূতের বাড়িতে, মরাকান্না;
আতঙ্কিত তন্দ্রালু আড্ডায়, করেছে পুরোধা ভিখারি
প্রাপ্তির ঝুলি শুণ্য, আমি নিঃস্ব , কাঙাল পথচারি।