সরকারি চাকুরি পাইনি বলে,
এ জীবনে আর পাওয়া হলোনা তোমাকে।
তোমাকে যদি আবার ভালবাসতে ইচ্ছে করে
তবে আমি আবার জন্ম নেব, হয়ে কোন সরকারি কর্মকর্তা ।
নিশ্চয় তখন তোমার আর আপত্তি থাকবে না !
কারও শরীরের রক্ত চুষে তোমার জন্য কিনবো
লাখ টাকা দামের সব্যসাচী লেহাঙ্গা
পছন্দের কোন একটা ডিজাইনের নিয়ে নেব,
রঙ নিয়ে ভেবনা, তুমি যে রঙই নাওনা কেন তা লাল হয়ে যাবে
এ যে চুষে বের করা টাকায় কেনা, এখনো তাতে লেগে আছে লালা রক্ত ।  
অফিসের বড় কোন বিল আটকে
তোমায় কিনে দিবো লাল মার্সিডিজ ,
ভাবছ লালা কেন? যেন তোমার শাড়ীর সাথে ম্যাচিং করে ।
লাল গাড়িতে চড়ে তোমার পথ চলতে সমস্যা হলে
আমি রাস্তা হতে পিচ-পাথরের উচু-নিচু স্তর তুলে সমান করে দিবো ।  
পাশের বাসার কোন ভাবি যদি তার প্রবাসী ভাই এর দেওয়া এক চিলতে সোনার চেন দেখিয়ে
তোমার কাছে নিজের দাম্ভিকতা দেখায়,
তাতে তুমি একটুও মন খারাপ করো না, আমি আছি তো!
রাস্তার সে পিচ-পাথর নিলামে তুলে তোমায় কিনে দেব, শত ভরীর গয়না ।
তোমার ভাই তার ডিপিএস এর টাকা তুলে, তোমার ভাবীকে দিয়েছে সুন্দর এক খানা শাড়ি
তুমি তাতেও মন খারাপ করো না , আমি আছি তো
কাল সকালেই হয়তো কোন বাবা তার পেনশনের শেষ কিস্তি তুলতে আসবেন,
মেয়ের বিয়েতে এক খানা ভালো শাড়ি কিনে দেবেন বলে,
আমি থাকতে এটা কি করে সম্ভব বল?
আমারি সামনে আমার বউ বাদে অন্য কেউ ভালো শাড়ী পড়ে আনন্দে ভাসবে !
আমি সেই বাবার পেনশন থেকে এ বিল, সে বিল করে অর্ধেকের বেশি টাকা কেটে রাখবো
আর আগের দিনগুলোতে সেই যদু, মদু কদুর কেটে নেওয়া টাকা দিয়ে
তোমায় কিনে দেব সবচেয়ে দামি শাড়িটি।
আমার বউ হয়ে তুমিই তো পরবে সবচেয়ে দামি শাড়ীটি, কারন তোমার বর যে সরকারি কর্মকর্তা ।  
(অসমাপ্ত………)