নীল আকাশের নিচে
কালো মেঘের মেলা,
হাওয়ার তালে-তালে দুলিতেছে
করছে কতো রং-বেরঙ্গের খেলা।
ব্যাঙের ঘেঙর-ঘেঙর শব্দ
বাজিতেছে ঢোল ঢাকের ধ্বনি,
উতাল-পাতাল হলো মেঘ
ঐ যে দূরে দেয়া ডাকে শুনি।
বায়ু বেগে উঠে জেগে
ফিরিয়ে গেল চোখের দৃষ্টি
চার দিকে কালো অন্ধকার
ঝড় ঝড়িয়ে নেমে এলো বৃষ্টি।
খাল-বিল, নদী-নালা পুকুর
করছে পানি থৈ-থৈ,
ছেলে মেয়েরা ভেলা নিয়ে
খেলায় মেতে করছে হৈ-চৈ।
বর্ষার এলো মহা প্লাবণ
হলো যেন দীর্ঘস্থায়ী বন্যা,
পাহাড় থেকে নেমে আসে পানি
কাঁকড়ি নদী হল তার একটি ঝর্ণা।
সকলের মনে একই ভয়
জানি না; না জানি কি হয়,
ছুটা-ছুটি করে নদীর পাড়ে যায়
ভাবছে বসে হায়-হায়।
রাস্তার পর হয়ে গেছে কাঁদা
পিছলে পরে ভাঙ্গছে কতো ঘাড়,
পানির গর্জনে কেঁপে উঠে
ভাবছে কখন জানি ভাঙ্গবে নদীর পাড়।


আমার আব্বা "হাজী মমিনুল ইস্‌লাম" কুয়েত, মধ্যপ্রাচ্য- থেকে আমাকে চিঠিতে কবিতাটি লিখে ২৫ জুন ১৯৯৯ ইং ।