কিছুক্ষন কথোপকথন...


পার্কের কর্নারে শেষ টেবিলে বসে একা আনমনে
চারদিক শূন্য নীরব নিস্তব্ধ কোথাও জন মানব নেই।
ছন্দ-ভাব-অন্তমিলের পড়েছে যেন আকাল
কবিতা বিদায় নিল, জানিনা হারালো কোন বনে।
কলম ডায়েরী খুলে বসে, যদি কোন কবিতা আসে।
পেছন থেকে কে যেন সাদা হাত রেখে কাঁধে
বলছে কেমন আছেন দাদা? কোঁকড়ানো চুল
কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ, মুখ ভর্তি দাঁড়ি রবীন্দ্র আভেস।


আমিঃ হাঁ ভাল আপনি কেমন আছেন?
কবিঃ আমি ভাল আছি বেশ।
আমিঃ কোথায় থাকেন কোথায় দেশ?
কবিঃ এইতো এখানে ওখানে যেখানে রাত ঘুম সেখানে।
আপনি কবিতা লিখছেন মনে হয়? আমি তা হলে পড়ে আসি।
আমিঃ আরে না, সমস্যা নেই, আপনার সাথে কথা বলি,
এই কবিতার চেয়ে কম কিসে। আপনিতো বড় কবি মনে হয়?
নাকি আমার মতো......।
কবিঃ ভাবতে পারেন আপনার মতোই, কবিতা আছে তিন...
আমিঃ তিনটি কবিতা?
কবিঃ না,শ তিনেক।
আমিঃ ওতাই আমি দুঃখিত।
কবিঃ দুঃখ করার কি আছে, গেল বছর শেষতক তিনশত কবিতা ছিল,
আগের গুলো বেছে দিয়েছি মুদি দোকানে কেজি ধরে।
আমিঃ কি বলেন, বই কি হয়নি প্রকাশ?
কবিঃ ঘুরেছি প্রকাশকের ধারে ধারে, টাকা চায় দিবে বই ৩০০ শত
তা বেচে যা হয় তাই কামাই।
আমিঃ ভাল প্রকাশক আছে এখনও বাজারে, বিনা পয়সায় ছাপাবে বই দেবে সম্মানি ভাতাও, যোগাযোগ করুন আগামী মেলায় আনতে পারেন কি কাব্যবিতান।


হঠাৎ আমি তাকিয়ে দেখি চার দিকে কেউ নেই, আরে কবি কোথায় গেলেন, ব্যাগ তো এখানেই পড়ে......


তার পর অনেক দিন চলে গেল।


রচনাকাল-শনিবার,দাম্মাম সৌদিআরব
২৮ নভেম্বর ২০১৫, ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪২২, ১৫ সফর ১৪৩৬ হিজরী