কিছু বলার পূর্বে আসরের সকল প্রাণপ্রিয় কবি বন্ধুদের সালাম ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাচ্ছি। “বাংলা কবিতা ডট কমে” যারা নিয়মিত লেখালেখি করছেন, তাদের মধ্যে এক অদৃশ্য ভালোবাসা ও সেতুবন্ধনে আমরা সবাই জড়িয়ে গেছি। চিনিনা, জানি না, কাউকে কোনদিন চোখেও দেখিনি তবুও একমাত্র লেখালেখির মাধ্যমেই আমরা একে অন্যের কাছ থেকে দূরে থেকেও কতইনা পরিচিত, কতইনা কাছের হয়ে গেছি তা ভাবতেই খুব ভালো লাগে। যেনো এই ‘কবিতার আসর’ একটা অদৃশ্য আত্মা আর আমরা সবাই এই আত্মারই এক একটি অংশ। এই বাংলা কবিতার আসর আমাকে দিয়েছে অনেক গুলো ভাল বন্ধু, অনেক অদেখা-অচেনা ভাই-বোন, যাদের ভালবাসায় আমি স্নিগ্ধতার পরশে আবৃত হয়ে আছি। এই প্রাপ্তি শুধু কী আমার একার? আপনি কী পাননি আমার মতই ভাল বন্ধু, ভাই-বোন “কবিতার আসরের” কল্যাণে?


এখন আসি আসল কথায়, প্রিয় কবি “প্রনব মজুমদার” নয়টি প্রয়াসে ৮৯ জন কবির কাব্যিক নামকরণ বা উপাধীতে ভূষিত করেছেন তা আমরা সবাই জানি। এই কাজটি অনেক কষ্টের, অনেক সাধনার একটা কাজ। একজন কবিকে দীর্ঘদিন যাবৎ দেখে, তার লেখাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করার শেষেই কবি কোন কবিকে নামকরণের প্রয়াস চালান। আপাতঃ দৃষ্টিতে দেখলে মনে হতে পারে এ আর এমন কী কাজ? কিন্তু না....। হয়ত এটি কোন রাষ্ট্রীয় উপাধী নয়, অর্থকড়িরও সম্পর্ক নেই এর সাথে, তবুও একজন সৌখিন কবি যখন সবার কাছে প্রিয় ও বয়োজ্যেষ্ঠ কোন কবির নিকট থেকে এমন একটি উপাধি পান তখন সে যে কতটা খুশী হন তা কেবল ঐ কবিই বলতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে লক্ষ্য করেছি, কাব্যিক নামকরণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নাম প্রাপ্ত কবিগণ তাদের প্রোফাইল নামের সাথে তা জুড়িয়ে দিয়েছেন। এটা একটা অনেক বড় প্রাপ্তি, জীবনের প্রথম প্রাপ্তি। আর প্রথম প্রাপ্তি কখনই ভোলা যাবে না। আমি নিশ্চিত, এই আসরেরই অনেক কবি একদিন বাংলা কবিতার শিরোমনি হবেন। তখনো কিন্তু প্রনব দা’র দেয়া নামটিই তার শিরোমনিতে শোভা পাবে। যখন কোন কবি এই অনেক কষ্টের এবং আমাদের প্রতি অনেক স্নেহ ও ভালবাসা থেকে এমনটা করছেন, এবার আমাদেরও কিছুটা ভালবাসা ফিরিয়ে দেয়ার পালা। কিছুদিন আগে কবির নবম নামকরণেই কবি খান লোকনাথী (হিরণ্ময় কবি) প্রস্তাব করেছিলেন যে, কবিকে কী নামে ভূষিত করা যায় তা সবাইকে জানানোর জন্য। অনেকগুলো নাম প্রস্তাব এসেছিলো। তার মধ্যে শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবি মোঃ সানাউল্লাহ (আদৃত কবি) এর প্রস্তাবিত “হিতৈষী কবি”র নামটির পক্ষেই অনেকে মত দিয়েছেন। তাই আজ থেকে সবার চাওয়ায় শ্রদ্ধেয় কবি প্রনব মজুমদার’কে আমরা ‘‘হিতৈষী কবি’’ নামেই ডাকবো। এবং হিতৈষী কবির কাছে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করবো, আপনার এই কাব্যিক নামকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। সবাইকে ধন্যবাদ।